রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকগাছায় কলেজ ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা



খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপনের দাবিতে আমিনু রহমান (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আটক অপহরণকারী ফয়সালের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লাশ উদ্ধারে পুলিশ কপোতাক্ষের পাইকগাছার আগড়ঘাটা ফুলতলা এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত লাশ উদ্ধার হয়নি।

অপহৃত আমিনুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় আটক ফয়সাল গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রবিবার (৭ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে ৪/৫ জনের একটি অপহরণকারী চক্র উপজেলার আগড়ঘাটা বাজার থেকে আমিনুর রহমানকে অপহরণ করে।

এরপর তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ঐদিন রাত ১০ টার দিকে তার পিতা ছুরমান গাজীর কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় মুক্তিপণের টাকা পাইকগাছা ব্রীজের নীচে রাখতে বলা হয় বলেও জানানো হয়। পরে মুক্তিপণের কিছু টাকা ঐস্থানে রেখে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়।

সোমবার দুপুর ১ টার দিকে নির্দিষ্ঠ স্থান থেকে টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় চারপাশে মোতায়ন করা লোকেরা অপহরণনকারী ফয়সাল সরদারকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেয়। সে গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে এবং নিজেকে সে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দেয়। তার সাথে আরও ৪/৫ জন রয়েছে বলে অপহৃতের পিতা ছুরমান গাঝী জানান।

পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, অপহরণের ঘটনায় আটক ফয়সাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, তাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ কপোতাক্ষে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তের দাগ দেখে তার দেখানো নির্দিষ্ট স্থানে লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!