অবশেষে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ভোটের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বালাগঞ্জ উপজেলা শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫মার্চ) সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের স্থানীয় রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন। সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।
সিলেট জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলরদের ভোটে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি পদে মোহাম্মাদ গোলাম রাব্বানী নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ২২টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) হাজী আব্দুর নুর পেয়েছেন ৪টি ভোট ও মো. আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪টি ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে এম, মুজিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৫টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলাউদ্দিন রিপন পেয়েছেন ১৪টি ভোট।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে লুৎফুর রহমান (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৭টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মকবুল মিয়া পেয়েছেন ১০টি ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক পদে তোফায়েল আহমদ সোহেল নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৬টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমল আলী মাসুক পেয়েছেন ১১টি ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইফুল আহমদ সেফুল নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৬টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহীন আহমদ জয় ১২টি ভোট পেয়েছেন। কাওছার আহমদ কোন ভোট পাননি।এদিকে কাউন্সিল শেষ হওয়ার পরপরই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বিজয়ীদের করতালি বা কোন ধরনের আনন্দ উৎসব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করে বিজিতদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামীতে দলের প্রয়োজনে সকল আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার আহবান জানান।