শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

ইউক্রেন যুদ্ধ

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর ‘নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন



রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর থেকে ‘আসক্তি’ কমাতে ও শক্তি সরবরাহের ‘নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার’ জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা একটি আর্টিকেলে তিনি এ কথা বলেন। জনসন এতে লিখেছেন, ২০১৪ সালে রাশিয়াকে ক্রাইমিয়া দখল করতে দিয়ে বড় ভুল করেছে পশ্চিমা নেতারা। এরপর রাশিয়ার জ্বালানির উপরে নির্ভরশীল হয়ে পরা ছিল আরেকটি বড় ভুল। রাশিয়ার তেলের উপরে এই নির্ভরশীলতাই ক্রেমলিনকে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের উপরে বোমা ফেলার সাহস যুগিয়েছে। এখন বিশ্ব বাজারে তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সুফলও ভোগ করছে তারা। জনসন বলেন, কিন্তু আমরা এভাবে চলতে দিতে পারি না। বিশ্ব এই ব্ল্যাকমেইল মেনে নিতে পারে না।

দ্য ন্যাশনালের খবরে জানানো হয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় বন্ধ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বৃটিশ সরকার।

জনসন বলেন, যতদিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপরে পশ্চিমা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল থাকবে ততদিন তিনি এটি ব্যবহার করে যা খুশি তাই করবেন। এ কারণে এই নির্ভরশীলতা শেষ করতে হবে। কারণ রাশিয়া এই তেল ও গ্যাস ছাড়া আর কিছুই উৎপাদন করে না, যা বাকি দুনিয়া তাদের থেকে কিনতে চাইবে। তাই রুশ তেল ও গ্যাসের উপর থেকে নির্ভরশীলতা বন্ধ করতে পারলে, পুতিনের অর্থ শেষ করতে পারবো, তার কৌশল ধ্বংস করতে পারবো এবং তাকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারবো।

এ মাসেই রাশিয়ার উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প জ্বালানী নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ করবে বৃটেন। এতে কী থাকছে সে বিষয়েও কিছুটা ধারণা দিয়েছেন জনসন। সৌরশক্তি ব্যবহার করে তেলের উপরে নির্ভরশীলতা কমানোর উপরেও জোর দেয়া হচ্ছে। যাতে করে পুতিনের মতো মানুষের ‘দয়ার’ উপরে বৃটেনের জ্বালানী সরবরাহ নির্ভর না করে তা নিশ্চিত করার কথা বলেন জনসন।

এদিকে মঙ্গলবার সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেখানে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। আলোচনায় বিন সালমানকে তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিতে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন জনসন। রাশিয়ার উপরে তেল ও গ্যাস নির্ভরতা কমাতে বিকল্প উৎস হিসেবে সৌদি আরবের কথা বিবেচনা করছে পশ্চিমা মিত্ররা। সৌদি আরব যদি তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করে তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম থাকবে এবং সরবরাহ ঘাটতির ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!