শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালাগঞ্জে ‘রুকন ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট ইউকে’-এর উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে সেবামূলক বহুমুখী প্রকল্প



বালাগঞ্জে রুকন ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট ইউকের উদ্যোগে উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের মুক্তারপুর (রুকনপুর) এলাকায় নির্মিতব্য আত-তাক্বওয়া এতিমখানা – হাফিজিয়া ও নূরানী মাদ্রাসা, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলছে। ওই বহুমুখী প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এলাকাবাসী উপকৃত হবেন।

জানাগেছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও সমাজসেবী আলী আহমেদ নেছাওরের পারিবারিক উদ্যোগে গঠিত ‘রুকন ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে’-এর অর্থায়নে ১শ ২০ শতক ভূমিতে নির্মিতব্য ওই বহুমূখী প্রতিষ্ঠানসমূহ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৫কোটি টাকা।জানাগেছে, ওই বহুমুখী প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এতিম ও দরিদ্র লোকদের পাশাপাশি এলাকাবাসী উপকৃত হবেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে -‘রুকন ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের চেয়ারপারসন আলী আহমেদ নেছাওর বলেন, এলাকার অসহায় ও এতিমদেরকে আধুনিক বাংলাদেশের সুনাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করা এবং বর্তমান যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা ও জ্ঞান প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
বিশ্বাস করি, মানুষের সেবার মাধ্যমেই মহান আল্লাহ্পাকের সন্তুষ্ট অর্জন করা সম্ভব। এ লক্ষ্যেই ‘আত-তাক্বওয়া এতিমখানা – হাফিজিয়া ও নূরানী মাদ্রাসা, স্বাস্থ্য সেবার কেন্দ্র এবং কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রে স্থাপন করা হচ্ছে।তিনি জানান, রুকন ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন আমার চাচা আব্দুস ছালাম অদুদ, সেক্রেটারির দায়িত্বে রয়েছেন- আমার পুত্র রুম্মান আহমদ ও টেজারার আমার ভাই সানাওর আহমদ, এসিস্ট্যান্ট টেজারার মুহাম্মদ সমুজ আলী তারিফ। আমাদের পারিবারিক উদ্যোগে ওই সেবামূলক প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এখানে শরীর চর্চার জন্যও খেলাধুলার প্রয়োজনীয় মাঠ এবং দোকানপাঠ ও অন্যান্য সুবিধা থাকবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের মাটিভরাট কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশাকরি চলতি বছরের অক্টোবরের দিকে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। সে জন্য গ্রাম, এলাকা, দেশবাসীসহ বহিবিশ্বে অবস্থানরত সবার দুয়া, সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার সুদৃষ্টি ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি।

আমি এই মহতি উদ্যোগ গ্রহনের পর স্থানীয় এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ এলাকাবাসী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেয়ে আসছি। সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তবে দুঃখজনকভাবে কতিপয় স্বার্থনেষীদের কাছ থেকে নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হয়েছি।

আলহামদুলিল্লাহ, আদালতের রায়ের মাধ্যমে আজ আবারও কাজ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কেহ “মহতি কাজ করতে এসে যেন এরকম দফায় দফায় কষ্টের স্বীকার না হন’ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। ।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!