শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

এক মাসের ব্যবধানে ২জন উপার্জক হারিয়ে পরিবার দিশেহারা

নামাজ পড়তে গিয়ে আমার ফুয়া আল্লাহর কাছে চলে গেছে!



নামাজ পড়তে গিয়ে আমার ফুয়া আল্লাহর কাছে চলে গেছে! মাই ঔষধ খাইচনি এখন কে কইতো। এমনি আবেগময় কথাগুলো বলে চারপাশে তাকিয়ে নির্বাক হয়ে রইলেন সন্তান হারানো এক বৃদ্ধ মা।

ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউনিয়নের সোয়ার গাঁও গ্রামের ৪ শিশুসন্তানের জনক সালিশ ব্যক্তিত্ব আফতাব আলী কালা মিয়া ড্রাইভার। প্রতিদিনের মতো নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় মৃত্যুবরণ করছেন। তার মৃত্যুতে পরিবার-পরিজনসহ এলাকার লোকদের মধ্যে যেন শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

জানাগেছে, শনিবার (২ জুলাই) নিজবাড়ী থেকে জোহরের নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে রওনা হলে- প্রায় ঘন্টাখানিক পরে আনুমানি ১টার দিকে কালা মিয়াকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সোয়ারগাঁও জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজনের ধারণা কালা মিয়া ষ্ট্রোক করেছেন অথবা অজ্ঞাতনামা গাড়ীর ধাক্কায় তিনি নিহত হয়েছেন । তার বাম চোখের উপর দিকে কপালে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়নি।

ঐদিন বাদ এশা (রাত ৯টায়) স্থানীয় সোয়ারগাঁও জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের জানাজা শেষে পঞ্চায়েতি কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লীগণ শরিক হন ।

এ সময় মসজিদের ইমাম মাওলানা এনায়েত উল্লাহ বলেন, কালা মিয়া ভাই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে নামাজ আদায়কারী একজন মুসল্লী ছিলেন। আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন এবং শিশুসন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের সহায় হোন।

উল্লেখ্য, সোয়ারগাঁও গ্রামের মৃত আরজান আলীর ৩য় পুত্র কালা মিয়ার ছোট ভাই প্রায় একমাস আগে হঠাৎ ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনিও মা, স্ত্রী, ৫টি শিশুসন্তান রেখে গেছেন।

এদিকে এক মাসের ব্যবধানে পরিবারের ২জন উপার্জক হারিয়ে তাদের পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!