যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসন পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি বলেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু হওয়া উচিত।
কিন্তু কীভাবে নিজেদের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেবে ব্রিটিশরা? যুক্তরাজ্যের সংবিধান ও শাসনতন্ত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাজ্যের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আগ্রহী প্রার্থীরা এখন এগিয়ে যাবেন। ক্ষমতাসীন দলের অন্তত দুই জন আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে— এমন যে কোনো পার্লামেন্ট সদস্য বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে পারবেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের তারপর যেতে হবে বেশ কয়েক দফা ভোটে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সের সরকারি দলের আইনপ্রণেতারা গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন। সেসব ভোটের ফলাফলের গড় হিসাব করে যে প্রার্থী সবচেয়ে কম ভোট পাবেন, তার প্রার্থিতা বাতিল হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রার্থীর সংখ্যা ২ জনে এসে না ঠেকছে ততক্ষণ চলতেই থাকবে এই ভোট।
শীর্ষ দুই প্রার্থী চুড়ান্ত হওয়ার পর তারা সমর্থন চাইবেন পার্লামেন্টের বাইরে সরকারি দলের যত সদস্য রয়েছেন তাদের। যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি সমর্থন লাভ করবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও এভাবেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী ও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র পদত্যাগের পর দলের এমপি ও সদস্যদের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন জনসন।
কত সময় লাগবে এ প্রক্রিয়ায়?
এ ব্যাপারটি নির্ভর করছে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কত জন নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছেন— তার ওপর। ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হতে টেরিজা মে’র সময় লেগেছিল তিন সপ্তাহ।
কিন্তু ২০১৯ সালে মে’র পদত্যাগের পর এ পদে আসতে জনসনের সময় লেগেছিল দুই মাস। যুক্তরাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী জেরেমি হান্টের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হয়েছিল তাকে।