সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সিলেট – ২ (বিশ্বনাথ- বালাগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীর জন্মদিন আজ।
জানাগেছে, ১৮ আগস্ট ১৯৫৭ সালে শফিকুর রহমান চৌধুরী বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চান্দভরাং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আব্দুল মতলিব চৌধুরী ও মায়ের নাম লতিফুন নেসা চৌধুরী। তাঁর বাবা ছিলেন একজন বিশিষ্ট প্রবাসী কমিউনিটি নেতা। শফিকুর রহমান চৌধুরী ১৯৭২ সালে চান্দভরাং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৭৫ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭৯ সালে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী একজন সার্বক্ষণিক রাজনীতিবিদ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ সময়ই তিনি জনকল্যাণে কাটিয়ে চলেছেন। বৃটেনের আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে দীর্ঘদিন থেকে স্বদেশে বসবাস করে আসছেন। তিনি খুবই সাধারণ জীবনে অভ্যস্ত, আপাদমস্তক সৎ, সদালাপী ও বিনয়ী একজন নেতা। দলের জন্য তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও ত্যাগী এ বিষয়ে সবার
জানা।
৭৫’র পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে সিলেটে নিজেকে প্রকাশ করেন। এরপর পারিবারিক কারণে চলে যান লন্ডনে। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। লন্ডনের বাঙালিদের মধ্যে পুরাতন সফল ব্যবসায়ী ও ধার্মিক সজ্জন হিসেবে পরিচিত তাঁর পরিবার।
দীর্ঘ সময় লন্ডনেই রাজনীতি করে ২০০৬ সালের পর সিলেট-২ আসনে বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীকে ঠেকাতে নেতা খুঁজছিলো আওয়ামী লীগ। তখনই খোঁজ মিলে তাঁর। গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই নিজ এলাকা বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নামেন শফিকুর রহমান চৌধুরী।ওয়ান-ইলেভেনের সময় হন গ্রেপ্তারও।
পরবর্তীতে তিনি সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়ে যান। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শফিকুর রহমান চৌধুরী বিএনপির জাঁদরেল রাজনীতিক এম ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়ে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জমা দানের পরও দলের বৃহৎ স্বার্থে তাঁকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হয় । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে তিনি মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেন ।
এরপর থেকে এখনো সিলেট – ২ আসন আর আওয়ামী লীগের ভাগ্যে জুটেনি। তবে তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকজন বর্তমানেও শফিকুর রহমান চৌধুরীকে এমপি বা জননেতা হিসেবে মনে করেন। জনগণ যেকোনো আপদবিপদে, সুখদুঃখে পাশে চান এবং তিনি দাঁড়ান।
ব্যক্তি জীবনে তিনি নামাজি, ধার্মিক হলেও সবধর্মের মানুষের কাছেই প্রিয়। তাঁর মতো একজন সৎ নিরঅহংকার নেতা
বর্তমান সময়ে খুঁজে পাওয়া কঠিন।