একজন ঈমানদারের জন্য আল্লাহর হুকুম পালন ও তার রাসুলের সুন্নত পালন অপরিহার্য। তবে আমলের ফিরিস্তি দীর্ঘ করার ও জান্নাত লাভের অনেক সহজ ও ছোট ছোট আমল রয়েছে। জান্নাত অনন্ত সুখের শান্তি-সুনিবিড় আধার। আল্লাহ নিজেই তাঁর বান্দাদের জান্নাতের পথে ডেকেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ২৫)
জান্নাত লাভের সহজ ৬টি নেক আমল এখানে উল্লেখ করা হলো। যা নিয়মিত নিজে আমল করতে পারেন এবং সন্তানদের ও শিক্ষা দিতে পারেন।
🔘১. প্রতিবার ওযূর পর কালিমা শাহাদাত পড়া। (কিয়ামতের দিনে) এতে জান্নাতের ৮ টি দরজার যে কোনটি দিয়ে তাকে প্রবেশ করতে বলা হবে।
__(নাসাঈ-১৪৮, তিরমিযী-৫৫, ইবনু মাজাহ-৪৭০)
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।
🔘২. প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় একবার করে সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পড়া। সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা গেলে অথবা সন্ধ্যায় পড়ে রাতের মধ্যে মারা গেলে সে জান্নাতি হিসাবে গণ্য হবে।
__(বুখারী-৬৩০৬, তিরমিযী-৩৩৯৩, মিশকাত-২৩৩৫)
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي؛ فَاغْفِرْ لِي؛ فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ»
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।
🔘৩. প্রতিবার ফরয নামাযের পর একবার আয়াতুল কুরসি পড়া। নিয়মিত আমল করলে আমলকারী ও জান্নাতের মধ্যে পার্থক্য থাকে শুধুমাত্র মৃত্যু। অর্থাৎ মৃত্যু হলেই সে জান্নাতি। ___(নাসাঈ-৯৯২৮)
ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُۥ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَّهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ مَن ذَا ٱلَّذِى يَشْفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذْنِهِۦ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفْظُهُمَا وَهُوَ ٱلْعَلِىُّ ٱلْعَظِيمُ
উচ্চারণ: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।
🔘৪. মনোযোগী হয়ে, আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে আযানের উত্তর দেওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে আযানের উত্তর দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।
__(মুসলিম-৩৮৫, আবূ দাউদ-৫২৭, মিশকাত-৬৫৮)
🔘৫. প্রথম তাকবীরের সাথে একটানা ৪০ দিন জামাতে নামায আদায় করা। এতে মুনাফিকের খাতা থেকে নাম কাটা যাবে আর জাহা*ন্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হবে।
__(জামে তিরমিযী)।