শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ব্রিটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর এ অসুস্থ হয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁর চিকিৎসকরা । তাঁকে মেডিকেল নজরদারির মধ্যে রাখার সুপারিশ করেছেন তাঁরা। বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ থেকে এ তথ্য জানানোর পর রানীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ খবর জানার পর ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামকে (৪০) সঙ্গে নিয়ে স্কটল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন তার ছেলে প্রিন্স চার্লস (৭৩)। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
রাণী এলিজাবেথ অবস্থান করছেন স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে। সেখান থেকেই ৬ই সেপ্টেম্বর তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে নিয়োগ করেছেন। তখন তাকে বেশ হাসিখুশি দেখা যায়। তিনি গ্রিনরুমে স্বাগত জানান ট্রাসকে।
এএফপি লিখেছে, গত বছর অক্টোবর থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন রানী। এসব সমস্যার কারণে তার হাঁটতে এবং দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়। তাকে বিশ্রামে থাকতে বলার পর বুধবার সিনিয়র রাজনৈতিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক বাতিল করেন।
বাকিংহাম প্যালেস থেকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে আরও মূল্যায়নের পর রাণীর চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা তাকে আরও মেডিকেল তত্ত্বাবধানে থাকার সুপারিশ করেছেন। তবে রানী বালমোরালেই আছেন এবং স্বস্তিতেই আছেন।
রাণীর স্বাস্থ্যগত বিষয়ে রাজপ্রাসাদের বিবৃতি উচ্চ মাত্রায় অস্বাভাবিক। এএফপি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং তার পার্লামেন্টারি টিমের সিনিয়র সদস্যদের কাছে নোট পাঠানো হয়েছে। এতে দ্রুত তাদেরকে চেম্বার ছেড়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্নভোজের সময় বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে যে খবর পাওয়া গেছে, তাতে পুরো দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই সময়ে রাণী ও তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের এবং পুরো বৃটেনের মানুষের প্রার্থনা।
উল্লেখ্য, বৃটিশ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরী রাণীর বড় ছেলে প্রিন্স চার্লস (৭৩)।