হোমিও চিকিৎসক ও ‘আনোয়ারা’ সম্পাদক আব্দুর রশীদ লুলুর মাতৃভক্তিকে তুলনাহীন বললেও অত্যুক্তি হবে বলে আমি মনে করি না। তাঁর যখন ৬ মাস বয়স তখন তাঁর মতাময়ী মা জননী এ জগতের মায়া ছেড়ে চলে যান। তাই হৃদয়ের ভালোবাসা উজাড় করে মা ডাকার সৌভাগ্য তাঁর হয়নি। কিন্তু মায়ের প্রতি তাঁর যে অপরিসীম শ্রদ্ধা-ভক্তি-ভালোবাসা তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মায়ের স্মৃতিকে অমলিন ও চিরঞ্জীব রাখার জন্য তিনি মায়ের নামে ‘আনোয়ারা’ নামক সংকলন বের করার মহতি উদ্যোগ নেন। এটা নি:সন্দেহে তাঁর প্রয়াত মাতা আনোয়ারা বেগমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসর নিদর্শন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি সৃজনশীল সংকলন আনোয়ারা বের করে আসছেন। এ পর্যন্ত আনোয়ারা ৫২টি সংখ্যা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। সাহিত্য সংকলন আনোয়ারায় প্রকাশিত ইতিহাস-ঐতিহ্য-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক লেখাগুলো মূল্যবোধের অবক্ষয় ও অধপতনের বিরুদ্ধে মানুষকে উজ্জীবিত করেই চলছে। আনোয়ারাকে কেন্দ্র করে অনেক নতুন লেখক সৃষ্টি হচ্ছেন। সমাজে লেখক সৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, সৃজনশীল লেখকরা সমাজকে আলোকিত করে থাকেন। তারা সমাজের অনাচার, অবিচার, কুসংস্কার, দূর্নীতি, ধর্মান্ধতা প্রভৃতির বিরুদ্ধে শক্ত হাতে কলম ধরতে দ্বিধাবোধ করেন না। তারা দেশ ও জাতির উন্নয়ন অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। এসব বিষয়ের দিক থেকে শেকড় সন্ধানী সাহিত্য সংকলন আনোয়ারার অবদান অনস্বীকার্য। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি সংকলন প্রকাশ করা আসলে সম্পাদকের অসীম ধৈর্য্য ও সাহসিকতার পরিচয়। এসব কাজের জন্য তিনি সর্বমহলের সাধুবাদ পাওয়ার দাবি রাখেন।
প্রয়াত মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আব্দুর রশীদ লুলু লিখেছেন, ‘মরহুমা আনোয়ারা বেগম ছিলেন বাংলার এক দুঃখী নারী এবং আমার গর্ভধারিনী মা। যিনি বিগত শতাব্দীর ষাটের দশকে মাত্র ছয় মাস বয়সের আমাকে রেখে বিনা চিকিৎসায় অকালে মারা যান ভাদ্রের এক বাদলা দিনে। ছোটবেলায় বিশেষত হাইস্কুলে পড়াকালীন সময় থেকে দুঃখের সাগরে ভাসতে ভাসতে। আমি ভাবতাম বড় হলে একদিন আমি আমার দুঃখিনী মায়ের নামে সামাজিক কিছু একটা করব। যাতে আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক ভুলতে বসা আমার মা মরহুমা আনোয়ারা বেগমকে ভালো কাজের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখা যায়। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার বাইরে বিশেষত কথাসাহিত্য পড়তে পড়তে ভাবতাম মা’র নামে একটা গ্রন্থাগার করা যায় যেখানে জ্ঞান চর্চার অপার সুযোগ আমার জন্য এবং সবার জন্য সহজ হবে। কখনো কখনো মায়ের নামে একটা মহিলা স্কুল করার কথা ভেবেও বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি। সেই সাথে মায়ের অভাব রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভব করে অনেক চোখের জল ফেলেছি।
সেসব সংকল্প-স্বপ্ন বুকে ধারণ করে দুঃখ-কষ্টে দিনেদিনে বড় হয়েছি। শিল্প-সাহিত্য চর্চার সেসব কিছুটা গেঁথেও রেখেছি। এমনি করে একদিন রোজগারীও হয়েছি। কিন্তু আমার যাযাবর/ভাসমান জীবনের সহজে ইতি ঘটেনি। আর একেবারে শূন্য থেকে শুরু করা জীবনে স্বপ্ন-সংকল্পের কিছু করতেও পারিনি। ভুল-হতাশা-ব্যর্থতার অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে খেতে প্রায়ই বিনিদ্র রজনীতে দীর্ঘশ্বাসে বুক ভরে উঠেছে।’
শত দুঃখ-কষ্ট ও প্রতিকুল পরিবেশের মাঝেও আব্দুর রশীদ লুলু মায়ের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য যে মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিনা চিকিৎসায় মা মারা যাওয়ার যে বেদনা তাঁর বুক বিদীর্ণ করেছিল, সেই বেদনা কোনদিনই ভুলে যাবার নয়। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর মায়ের নামে গঠন করেন “আনোয়ারা ফাউন্ডেশন”। বিগত শতাব্দির ষাট দশকের মধ্যভাগে অকালে মৃত্যুবরণ করা গ্রাম জনপদের এক দুঃখী নারী আনোয়ারা বেগমের নামে প্রতিষ্ঠিত আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের মূখ্য উদ্দেশ্য হলো মানব ও প্রকৃতি কল্যাণধর্মী কাজের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতি রক্ষা করা। চানক্য পন্ডিত বলেছিলেন, ‘মুর্খ শত পুত্রের চেয়ে একটি গুণিই ভালো/হাজার তারায় যায় না আঁধার একটি চাঁদেই আলো।’ আসলে আব্দুর রশীদ লুলু সেই চাঁদ। তিনি একজন গুণি মানুষ। শুধু তাঁর অকাল প্রয়াত মা নন, জগতের সকল অসহায়-অবহেলিত দুঃখী মানুষের জন্য তাঁর মন কাঁদে। তাই তিনি মায়ের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সমাজের গরিব-দুঃখী-অসহায় মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে তিনি যেভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। কবি কুসুম কুমারী দাশ কাব্যের ভাষায় জানতে চেয়েছিলেন, ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।’ সেই ছেলে হলেন আব্দুর রশীদ লুলু। একথা আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি। এ পর্যন্ত তিনি যেসব কাজ করেছেন তা অবেহলার চোখে দেখার কোনো অবকাশ নেই। বলতে গেলে মানুষের সেবায় তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। নিজের ছেলেকেও এ রকম শিক্ষা দিয়ে তুলছেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘মানুষের সেবা করা হচ্ছে ঈশ্বরের সেবা করা।’
আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে, আনোয়ারা হোমিও হল গ্রন্থাগার ও আর্কাইভ, রাজীব স্মৃতি গ্রন্থাগার এবং মরহুম আব্দুল মালিক হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের বই-পুস্তুক ও ম্যাগজিন প্রকাশিত হয়েছে এবং আরো অনেক কিছু প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান সময় পর্যন্ত আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম দেখে আমি আশাবাদী এই প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মসূচির বাস্তবায়ন ঘটবে এবং সময়োপযোগী আরো কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
গ্রীক সভ্যতায় বই পড়াকে আত্মার চিকিৎসা বলা হয়। হোমিও চিকিৎসক ও লেখক-সম্পাদক আব্দুর রশীদ লুলু মানুষের দেহের চিকিৎসার পাশাপাশি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বই পড়ার সুযোগ করে দিয়ে মানুষের আত্মার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। এ জন্য তাঁকে শুধু ধন্যবাদ নয়, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। আমি মনে করি, বিভিন্ন ধরণের বই পুস্তক পড়ে তাঁর মাঝে যে চেতনাবোধ জাগ্রত হয়েছে, তা চিরকাল তাকে প্রভাবিত করবে এবং সৃজনশীল কাজের জন্য উৎসাহ অনুপ্রেরণা জোগাবে। কারণ, তিনি বই-পুস্তক পাঠ করে জ্ঞান অর্জন করেই ক্ষান্ত হননি, জ্ঞানের প্রসারের জন্য তিনি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করে মানুষের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার মহতি উদ্যোগ নিয়েছেন। চলতি সহ¯্রাব্দ শুরুর প্রাক্কালে টাইম ম্যাগাজিনের একটি বিশাল প্রতিবেদনের সূচনায় লেখা হয়েছিল, ‘নতুন সহ¯্রাব্দের সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান।’ জ্ঞান অর্জন করতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। আর একটি গ্রন্থাগার হচ্ছে বইয়ের ভান্ডার। প্রখ্যাত মনীষী ক্যালভিন কলিজ বলেছিলেন, ‘দেশে সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রধান উপায় একটাই, তা হলে সুলিখিত এবং সৃষ্টিশীল ও মননশীল বই।’ আর বইয়ের সমাহার হচ্ছে গ্রন্থাগার। সৈয়দ আলী আহসান বলেছিলেন, ‘পাঠাগার নিঃসন্দেহে লিখিত ভাষার সঞ্চয় কেন্দ্র। এখানে মানুষ বিপুল পৃথিবীর বিচিত্র সঞ্চয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়।’ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে আব্দুর রশীদ লুলু আসলে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
চিকিৎসক, লেখক-সম্পাদক ও সমাজসেবী আব্দুর রশীদ লুলু তাঁর অকাল প্রয়াত মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে মায়ের নামে আনোয়ারা হোমিও হল, সাহিত্য সংকলন আনোয়ারা, আনোয়ারা ফাউন্ডেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নানা রকম উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সুযোগ্য সন্তান আনিসুল আলম নাহিদের সম্পাদনায় প্রকাশিত হচ্ছে কৃষিবিষয়ক সংকলন ‘চাষাবাদ।’ শহরে ও গ্রামে ছাদ বাগান বা ছাদ কৃষিতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে আনোয়ারা ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ফলদ বৃক্ষরোপণ, বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন, ধূমপান বিরোধী কার্যক্রম, খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বাসা-বাড়িতে কৃষিপণ্য উৎপাদন, লাউ ও শিমের বীজ বিতরণ, ফুল, ফল ভেষজ চারা বিতরণ, আগ্রহী পাঠকদের বই বিতরণ, পাখি শিকার প্রতিরোধ, জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রচারণা, নদী রক্ষা ও পানি দূষণ প্রতিরোধে প্রচারণা, শীতকালীন শাক-সবজির বীজ বিতরণ প্রভৃতি। আনোয়ারা ফাউন্ডেশন নানা প্রতিকূলতা ও চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে ৯ বছরে পদার্পন করেছে। এটা নিঃসন্দেহে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের ধৈর্য্য, সাহস ও কর্মক্ষমতার প্রমাণ। আগামী দিনে তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী।
আমাদের সমাজে ভালো কাজের বিরোধীতা করার মানুষের অভাব নেই। এক শ্রেণির মানুষের জন্মই হয়েছে ভালো কাজের বিরোধিতা করার জন্য এবং মানুষের ক্ষতি করার জন্য। আবুল মনসুর আহমদ তাঁর ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ গ্রন্থের এক জায়গায় লিখেছেন- শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বলেছিলেন, ‘মানুষ শ্যাওড়া গাছে ঢিল ছোঁড়ে না, আম গাছেই ঢিল ছোঁড়ে, ফজলি আম গাছে আরও বেশি ঢিল ছোঁড়ে।’ এটাই স্বাভাবিক। ভালো কাজের বিরোধীতা আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবো। ধৈর্য্য-সহ্য ও সাহসের সাথে দৃঢ় মনোবল নিয়ে তা মোকাবিলা করতে হয়। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার আগে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মারাত্মক রূপ ধারণ করলে মহাত্মা গান্ধী জীবন বাজি রেখে দাঙ্গা বন্ধের জন্য নোয়াখালী, কলকাতা, কাশ্মীর সফর করেন। কাশ্মীর যাওয়ার পথে অমৃতসরের লোকজন তাঁকে কালো পতাকা দেখায় এবং শ্লোগান দেয়- ‘গান্ধী তুমি ফিরে যাও।’ এতে তিনি অত্যন্ত দুঃখ পান এবং অবাঞ্চিত শ্লোগান যাতে তাঁর কান দিয়ে ঢুকতে না পারে সেজন্য কানে আঙুল দিয়ে তিনি তাঁর নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। ফিরে আসার পথে তিনি দেখেন সেই অমৃতসরে সারিবদ্ধভাবে হাজার হাজার মানুষ হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে আছে। এভাবেই মানব সভ্যতা বিনাশী গণদুশমনরা আপনা আপনিই পরাজিত হয়। আর এর বিপরীতে ধৈর্য্য সাহস, সহনশীলতা সৃজনশীল ও সমাজসেবী মানুষকে সফলতার দিকে নিয়ে যায়। আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রশীদ লুলু সকল প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে যেভাবে তাঁর সৃজনশীল ও সেবাধর্মী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে আমার মনে হয় কোনো বাধাই তাঁকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। বর্তমান সমাজে মূল্যবোধর যে অবক্ষয় ও অধপতন মানুষকে সভ্যতার আলো থেকে বর্বরতার অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে তা প্রতিরোধে আনোয়ারা ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধকে বুকে ধারণ করেছে এ সংগঠনকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সৃজনশীল ও সেবাধর্মী কাজ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপোষহীন ভাবে কাজ করা যেকোনো সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব। প্রকৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেকটি সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যও সামাজিক সংগঠনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হয়। আনোয়ারা ফাউন্ডেশন এ সমস্ত কাজে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। আব্দুর রশীদ লুলু ও তাঁর কর্মঠ ও সৃজনশীল সন্তান আনিসুল আলম নাহিদ আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করে তুলতে পারবেন; এতে কোনো সংশয় নেই।
ফার্সী ভাষার বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমীর ভাষায় আমরা বলতে চাই, ‘শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো, কন্ঠ উঁচু করে নয়। মনে রাখবে ফুল ফোটে যত্নে, বজ্রপাতে নয়।’
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী সাহিত্য পরিষদ।