চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এ বছর ২০২২ সালের তুলনায় কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে হওয়া এই পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন পরীক্ষার্থী। চলতি বছর ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ বছর পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। গতবার পেয়েছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৮৬ হাজার ২৪ জন।
চলতি বছরের ফলে দেখা যায়, চলতি বছর ২৯ হাজার ৭১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে অংশ নিয়েছিলেন। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বরিশাল বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
চলতি বছরের ফলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও মেয়েদের চেয়ে পিছিয়ে আছে ছেলেরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ আর ছেলেদের হার ৭৮.৮৭ শতাংশ। ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন আর ছাত্রী ৯৮ হাজার ৬১৪ জন। এবারই প্রথম সরকারি ছুটির দিন ফল প্রকাশ করা হয়।
বিদেশে থেকে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাস করেছেন ৩২০ শিক্ষার্থী। বিদেশি পরীক্ষার্থীদের গড় পাস করেছে ৮৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৫৫ জন পরীক্ষার্থী। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে গত ৩ বছর এসএসসি পরীক্ষার সময় পিছিয়েছে। চলতি বছরের ৩০শে এপ্রিল থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
এ বছর ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০টি। অন্যদিকে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। এবার মোট ২ হাজার ৩৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৭৫টি। পরীক্ষায় মনঃপূত ফল না পাওয়া পরীক্ষার্থীরা করতে পারবেন পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন। আবেদন অনলাইনে করা যাবে আজ থেকে ৪ঠা আগস্ট পর্যন্ত।