শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল



বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রবিবার (১৯ নভেম্বর) জামায়াতের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এর ফলে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকবে।

এর আগে ১২ নভেম্বর আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৯ নভেম্বর শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে জামায়াতকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রিট আবেদনকারীদের করা আবেদন শুনানিতে আপিল বিভাগ শুনানির এই দিন ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আপিল ও আবেদন শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। শুনানির শুরুতে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে সময় প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান। তখন আপিল বিভাগ বলেন, আপনাদের সময় আবেদন খারিজ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ডিসমিস ফর ডিফল্ট ঘোষণা করছি।

মূল মামলার আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন ও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন গ্রহণ করেননি সর্বোচ্চ আদালত।

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর দলটির পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল (সিপি) করা হয়।

২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ‘এক দশক পর সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত’ ও ‘নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জামায়াতে ইসলামীর, এক দশক পর ঢাকায় সমাবেশ’—এমন শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ১০ জুন প্রতিবেদন ছাপা হয়।

এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে মিছিল, সভা, সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে জামায়াতকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এবং জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ অন্যরা পৃথক আবেদন করেন।

 

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!