রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

প্রস্টেট চেকআপ কেন জরুরি?



পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রস্টেট পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও অনেকেই তা অবহেলা করেন। অথচ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্টেট গ্রন্থিতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো প্রস্টেট ক্যান্সার।

প্রস্টেট হলো একটি ছোট গ্রন্থি, যা মূত্রথলির নিচে ও পায়ুর সামনের দিকে অবস্থান করে এবং এটি পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত। বয়স বাড়ার সঙ্গে প্রস্টেট ক্যান্সার, প্রস্টেট বড় হওয়া (BPH) ও প্রস্টেটের সংক্রমণ (Prostatitis) হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ৮ জন পুরুষের ১ জনের জীবদ্দশায় প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না, তাই নিয়মিত চেকআপ ছাড়া তা শনাক্ত করা কঠিন। কিন্তু শুরুতেই ধরা পড়লে প্রায় ১০০% ক্ষেত্রে চিকিৎসা সফল হয়।

এ ছাড়া প্রস্টেট বড় হওয়া বা সংক্রমণ থেকেও ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে জ্বালা বা রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভোগেন অনেকেই।

প্রস্টেট সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে—

  • ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের

  • যাদের পরিবারে প্রস্টেট ক্যান্সারের ইতিহাস আছে

  • আফ্রিকান বা ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত পুরুষদের মধ্যে

বর্তমানে PSA রক্ত পরীক্ষা কিংবা ডিজিটাল রেকটাল এক্সামিনেশন (DRE) খুব সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায়। প্রয়োজনে আরও উন্নত পরীক্ষা যেমন MRI বা বায়োপসি করা হয়।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত প্রস্টেট চেকআপ করানো জীবন বাঁচাতে পারে।

কখন করাবেন প্রস্টেট পরীক্ষা?

  • ৫০ বছরের পর: নিয়মিত চেকআপ করা উচিত

  • ৪০-৪৫ বছর বয়সে: যদি পারিবারিক ঝুঁকি থাকে

  • যে কোনো বয়সে: যদি প্রস্রাবে সমস্যা বা অন্য উপসর্গ দেখা দেয়

স্বাস্থ্যই আসল সম্পদ। নিজের যত্ন নিতে ভুলবেন না—একটি ছোট পরীক্ষা আপনাকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!