শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস: মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রতি শ্রদ্ধা



ছবি: সংগৃহীত

একজন প্রকৃত শিক্ষক যেন মোমবাতির মতো—নিজে জ্বলে অন্যদের আলোকিত করেন। শিক্ষার্থীর প্রতিটি সাফল্যের পেছনে থাকে তার শিক্ষকের অদেখা পরিশ্রম, ভালোবাসা ও ত্যাগ। কিন্তু আমরা কতবার থেমে ভেবেছি, এই ত্যাগের মূল্য কত বড়? সহজেই বলতে পারি কে আমাদের প্রিয় শিক্ষক, কিন্তু কয়জন বলতে পারি—“আপনি আছেন বলেই আমি আজকের আমি”?

শিক্ষক শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান দেন না; শেখান কীভাবে মানুষ হতে হয়, কীভাবে জীবনের কঠিন পথে আলোর সন্ধান মেলে। অথচ ব্যস্ত জীবনের ঘূর্ণিতে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই তাদের সেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, ধৈর্য আর নিবেদনকে।

আজ, ৫ অক্টোবর, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস—শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও সম্মান জানানোর দিন। একটিমাত্র ধন্যবাদ, একটি হাসি বা আন্তরিক শ্রদ্ধাই হতে পারে শিক্ষকের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

শিক্ষক সভ্যতার অগ্রদূত, জাতির বিবেক এবং মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের হাতেই গড়ে ওঠে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তা, নৈতিকতা ও চরিত্রের ভিত্তি। তাইই বলা হয়—‘গুরুই আলোর পথপ্রদর্শক’।

১৯৯৩ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনে প্যারিসে ৫ অক্টোবরকে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরের বছর প্রথমবার উদযাপনের পর ১৯৯৫ সাল থেকে এটি নিয়মিতভাবে পালিত হচ্ছে। শিক্ষা ও উন্নয়নে শিক্ষকদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই এই দিনটি নির্ধারণ করা হয়।

বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে দিবসটি পালিত হয়, যেখানে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল এবং এর সহযোগী ৪০১টি সংগঠন মূল ভূমিকা পালন করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছর গুরুত্বসহকারে পালিত হয় দিবসটি, এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি সরকারিভাবেও উদযাপিত হচ্ছে।

আজকের এই দিনে তাই আসুন, আমরা সবাই কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি সেই মানুষগুলোকে—যারা আমাদের পথ দেখিয়েছেন, জ্ঞানের আলোয় জীবন আলোকিত করেছেন।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!