অভিবাসনপ্রত্যাশী ৬ শতাধিক শরণার্থীকে সাগরে ফিরিয়ে দিয়েছে ইতালি। এসব শরণার্থীরা ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি উপকূলে পৌছায়। কিন্তু ইতালি তাদের সব বন্দর বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়ে তারা। ইতালির নতুন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এখন থেকে তারা আর কোন শরণার্থীবাহী নৌকাকে তাদের বন্দরে ভিড়তে দেবে না। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, ইতালির বন্দরে নোঙর করতে ব্যর্থ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সাগরে ফিরে যায় ৬ শতাধিক শরণার্থীবাহী নৌকা। ইতালির সাম্পতিক নির্বাচনে কট্টরপন্থীরা ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনের সময়ই দলটি ঘোষণা দেয়, সরকার গঠন করলে তারা অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। শরণার্থীদের সাগরে ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সরকার সেই নীতির বাস্তবায়ন শুরু করলো। অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য বন্দর খুলে না দিয়ে ইতালির সরকার তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার জন্য ভূ-মধ্য সাগরের তীরবর্তী আরেক দেশ মাল্টার প্রতি আহবান জানিয়েছে। মাল্টাকে শরণার্থীদের জন্য দ্বার খুলে দিতে বলেছে। কিন্তু ইতালির এই আহবান প্রত্যাখান করেছে মাল্টা। দেশটি বলেছে, শরণার্থীদের আশ্রয় বা উদ্ধারের কাজে তাদের কিছুই করার নেই। রোববার সকালে বিপজ্জনকভাবে সাগরে ভাসমান এসব শরণার্থীদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এসওএস মেডিটারেনি নামের একটি ত্রাণ সংস্থা। এক টুইটার বার্তায় সংস্থাটি বলেছে, তাদের উদ্ধারকারী জাহাজ ‘অ্যাকুয়ারিয়াস’ সাগরে ভাসমান ৬২৯ শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ১১ শিশু ও সাত গর্ভবতী নারীও রয়েছে।
এদিকে, ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও স্যালভিনি রোববার টুইটারে লেখেন, ‘ ইতালি এখন থেকে মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসনের ব্যবসাকে ‘না’ বলা শুরু করেছে। আমার উদ্দেশ্য হলো, ওইসব শিশুদের জন্য আফ্রিকায় ও আমাদের শিশুদের জন্য ইতালিতে শান্তিপূর্ণ জীবনের ব্যবস্থা করা।’ তিনি ‘ইতালিয়ান ফার্স্ট’ নীতি অনুসরণ করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি ইতালিতে অবস্থানরত হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে আফ্রিকা থেকে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ ইতালিতে শরণার্থী হয়ে এসেছে। তবে অভিবাসনবিরোধী নতুন সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর শরণার্থী প্রবেশের পরিমাণ কমে গেছে।