পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সূত্র উদ্ধৃত করে ইংরেজি দৈনিক ডন জানাচ্ছে, মোট ২৭২টি আসনের মধ্যে ১১৯টি আসনের আংশিক ফলাফলে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ইমরানের পিটিআই।
এখন পর্যন্ত ৪৯% অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম আসনের ফলাফলে ইমরান খানের দলের অগ্রযাত্রা দেখে পর্যবেক্ষকরা নিচ্ছেন তিনি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৭টি আসন পিটিআই প্রার্থীরা জিততে পারবে কিনা, তা নিয়ে এখনও প্রবল সন্দেহ রয়েছে। সন্দেহ সত্যি প্রমাণিত হলে, ইমরান খানকে কোয়ালিশন সরকার গড়তে সহযোগী খুঁজতে হবে।
ইমরান খানের সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে উল্লাস করছেন।
এখন পর্যন্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) পেয়েছে ৬৪ টি আসনে এগিয়ে, বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)’র এগিয়ে ৪৩টি আসনে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বেসামরিক দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে। এর কারণে এবারের নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিশ্ব গণমাধ্যম।
এবার ১০ কোটি ৬০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৫০%-৫৫% শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কে এই ইমরান খান?
* একসময়কার এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ১৯৯২ সালে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের জন্য বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন।
* ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছেন তিনি।
* প্লেবয় জীবনধারা এবং তিনটি বিবাহের কারণে গণমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন তিনি।
* ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলটি চালু করেন কিন্তু দীর্ঘদিন তিনি নেতা হিসেবে পেছনের সারিতে ছিলেন।
* পাকিস্তানের দুর্নীতি এবং বংশীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
* অভিযোগ উঠেছে যে তার দল সামরিক মধ্যস্থতার সুবিধা নিয়েছে। যদিও ইমরান খান এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বিবিসি