ঢাকার বাড্ডা আলাতুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজ হচ্ছে বাড্ডা এলাকার প্রাচীনতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাড্ডা এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সবেক জনাব আলহাজ্ব নুর মিয়া উক্ত স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা । তিনি তাঁর মায়ের নাম ‘আলাতুন্নেছা’ অনুসারে উক্ত বিদ্যালয়ের নামকরণ করেন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের বহু শিক্ষার্থী সফলতার সহিত শিক্ষা স্তর পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করে নিজস্ব ব্যক্তি, পারিবারিক, সমাজ, পেশাগত বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদেরকে সফলতার সহিত বিভিন্ন স্থানে উন্নীত করেছেন। তার-ই ধারাবাহিক একটি চিত্র হল ১৯৯৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যাচ।
বহুদিন থেকে এই ১৯৯৪ ব্যাচের মেলবন্ধনের জন্য প্রচেষ্টা করে যাচ্ছিলেন বাড্ডা নিবাসী উক্ত ব্যাচের মৃদু খন্দকার এবং আরিফ। আর এই মেলবন্ধনের স্বপ্ন হল উক্ত ব্যাচকে একত্রিত করে পুনর্মিলনের মাধ্যমে প্রায় দুই যুগের লালিত স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলিকে একত্রিত করে, নতুন রূপে সাজানো আর স্মৃতি বিস্মৃতির মাঝে নিজেদেরকে খুঁজে ফেরার অনন্য সাধনা করা।
আর এই সাধনা-ই ফলশ্রুত রূপ নিয়েছে গত ১৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) স্থানীয় আফতাব নগর জহিরুল ইসলাম সিটি অন্তর্গত একটি রেস্তোরায় উক্ত ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ব্যাচের প্রায় দুই শতাধিকের বেশি ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে মুখরিত হয়ে উঠে ১৪ সেপ্টেম্বরের শুক্রবার সন্ধ্যা, সকলে উক্ত ব্যাচের সদস্য হিসাবে, উক্ত প্রাণবন্ত সন্ধ্যাকে প্রাণের দরজা খুলে উপভোগ করেন এবং অবলোকন করেন সময়ের কালে কালে কালান্তরে স্বপ্ন ভরা দিনগুলি যেন আবারও ফিরে এলো এই সন্ধ্যায়।
পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান সূচী অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় অভ্যর্থনা পর্বের পর সকলে আসন গ্রহণ করিলে কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর পরিচয় পর্ব শেষে, পারষ্পরিক হাস্যরম্য পর্ব শেষ করে প্রায় রাত্র সাড়ে ৯ ঘটিকায় রাতের ভোজন এর পূর্বে দফায় দফায় ফটোসেশন ও কেক কাটার পর্ব শেষ করা হয়। রাতের ভোজনের পর সামান্য বিরতি নিয়ে আবারও ফটোসেশন ও পারষ্পারিক সোহার্দ্য বিনিময় পর্ব শেষ করে প্রায় ১১ ঘটিকার দিকে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য সম্পূর্ণ পূর্বক উক্ত ব্যাচের সদস্য রাজু, আরিফ ও মৃদু খন্দকার উক্ত অনুষ্ঠান প্রতি বছর পালনের আশ্বাসের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।