দ্বিতীয় দিনের ব্যর্থতা ভুলে যখন ৩য় দিনে ২য় ইনিংসে ভালো ব্যাট করার আশায় ফিল্ডিং করছিল টিম বাংলাদেশ তখনই তাইজুলের আরেকটি পাঁচের চমৎকার বোলিং নৈপূণ্যে ১৮১ রানেই থামে জিম্বাবুয়ে। তারপরও পাঁচ বছর পূর্বে সর্বশেষ টেস্ট জয় পাওয়া জিম্বাবুয়ে সিলেটের বোলিং উইকেটে ৩২১ রানের টার্গেট দাঁড় করিয়ে চ্যালেঞ্জ এর সামনে নিয়ে আসে টাইগারদের। আর সেখানেই আরেকবার বিপত্তি আরেকবার হতাশা, আরেকবার ভুলশর্ট সিলেকশন ও আরেকবার হারিয়ে গেল ব্যাটিং সৌন্দর্য।
অথচ ৪র্থ দিন দুই ওপেনার ইমরুল-লিটন কি সুন্দর এক সূর্যদয়ের ই না ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইমরুলের ৪৩ এর ঘরে আউট হওয়ার পরই লেগ স্পিনার মাতুভার কাছে একে একে চারটি উইকেট বিলানো এবং আগের ইনিংসের কার্বন কপির মতোই আরিফুলের ৩৮ রানের মর্যাদা রক্ষার দেড়শ পেরোনো। সাকিব আল হাসানের মিডল অর্ডারে অনুপস্থিতি হারে হারে টের মিলেছে এবার যদিও ওয়ানডে সিরিজে সেটা মনে হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪র্থ দিনে বিশাল ব্যবধানেই হারল টাইগাররা। এই দলটা অস্ট্রেলিয়া,ইংল্যান্ড কে দেশের মাটিতেই হারিয়েছিল অবশ্য সিলেটে নয়। তবে কি মিরপুরে বদলে যাবে টিম বাংলাদেশ। সময় হয়েছে মাহমুদউল্লাহ যুগে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্ত স্থাপনের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮২
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৩
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ১৮১
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩২১) ৬৩.১ ওভারে ১৬৯ (আগের দিন ২৬/০)(লিটন ২৩, ইমরুল ৪৩, মুমিনুল ৯, মাহমুদউল্লাহ ১৬, শান্ত ১৩, মুশফিক ১৩, আরিফুল ৩৮, মিরাজ ৭, তাইজুল ০, অপু ০, আবু জায়েদ ০*; জার্ভিস ১৪-৫-২৯-১, চাটারা ৯-২-২৫-০, রাজা ১৭-১-৪১-৩, উইলিয়ামস ৮-২-১৩-০, মাভুটা ১০-২-২১-৪, ওয়েলিংটন ৫.১-০-৩৩-২)।
ফল: জিম্বাবুয়ে ১৫১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে জিম্বাবুয়ে ১-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: শন উইলিয়ামস