একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট -৩ আসনে মহাজোট প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কে হচ্ছেন এ নিয়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনেও সিলেট -৩ আসনে একক প্রার্থী চুড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি।
সিলেট -৩ আসনে বিএনপির চারনেতা পৃথকভাবে বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত চিঠিসহ দলীয় প্রার্থী দাবী করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার এম কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে।
সিলেট -৩ নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার সংখা ৩ লক্ষ ২৩হাজার ৩৯৬ জন। এর মধ্যে দক্ষিণ সুরমায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজার ২৯১ জন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৭২হাজার ৬৯২ ও বালাগঞ্জ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৮০হাজার ৪৩১জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ভাষ্য, যিনি চুড়ান্তভাবে ধানের শীষ প্রতিক পেয়ে নির্বাচন করবেন তার সাথেই দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে থাকবেন।
সিলেট -৩ আসনে প্রথম দফায় দলীয় প্রার্থী হিসাবে চিঠি পান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম। আবার গত মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী দলীয় চিঠি গ্রহন করেন। এদিকে, স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হক ও বিএনপির প্রার্থী হিসাবে এমন চিঠি পেয়েছেন।
তবে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা কর্মিরা বলেন শুধু প্রতিক নিয়ে এলে হবেনা, দল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যাঁর গ্রহণ যোগ্যতা আছে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দিলে প্রার্থী জয়লাভের সম্ভাবনা থাকবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, সিলেট -৩ আসনের জন্য ঢাকার গুলশান কার্যালয় থেকে ৪ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তবে কোন আসনে এখনও চুড়ান্তভাবে কাউকে একক মনোনয়ন দেয়া হয়নি। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিনই প্রার্থীদেরও মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হবে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যিনি আসবেন তার হয়ে মাঠে সকল নেতাকর্মী কাজ করবেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস।