গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ভবনের তিন তলার ছাদে ঢালাই কাজ চলাকালীন সময় যেটুক ঢালাই হয়ে যায় তা রেখে বাকি ঢালাই কাজ বন্ধ করা হয়। জানা যায়, সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা মূল্যে কার্যাদেশ পায় হক কনস্ট্রাকশন। প্রকল্পের কাজের মেয়াদের সময় ১ বছর।
সোমবার ওই প্রকল্পের কাজে বিদ্যালয় ভবনের ঢালাই কাজ চলাকালীন সময়ে ঢালাই কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনি সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানকে এ ব্যাপারে তার দপ্তরে ডেকে নিয়ে যান বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে মাহমুদুল হাসানের সাথে যোগাযোগেরর চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মিছবাউর রহমান বলেন, প্রথম দিকে সব ঠিক ছিল আমি সার্বক্ষনিক খোঁজ তদারকি করেছি। পরে কি থেকে কি হয়ে গেল বুঝলাম না। এই ঘটনায় আমি মানসিক ভাবে আহত।
এ ব্যাপারে কথ হয় হক কনস্ট্রাশনের পরিচালক নূরল হকের সাথে। তিনি বলেন, আমি পরিস্থিতির শিকার। কেন পরিস্থিতির শিকার এমন প্রশ্ন করলে তিনি আর উওর দেননি। এই কাজের সামাধান কি জানতে চাইলে নুরুল হক বলেন, প্রকৌশলী চীনে গেছেন। তিনি আসার পর যেভাবে বলেন সেভাবে কাজ হবে।
ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও মো.জসীম উদ্দিন বলেন, প্রকল্প এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। ওই ভবনের ছাদ নিম্নমানের রাবিশ দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছিল। এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে।