হামিদুল ইসলাম শ্রাবণ জামালপুর জেলার, মাদারগঞ্জ উপজেলার, বানিকুঞ্জ গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে, তার মায়ের নাম মহসিনা বেগম। দেশে তাঁর স্ত্রী ও তার দুই সন্তান রয়েছে।
হামিদুল ইসলাম শ্রাবণের আত্মীয় লেবানন প্রবাসী বাবুল মিয়া জানান, হামিদুল ইসলাম শ্রাবন লেবাননের নাবাতিয়ায় একটি বাংলাদেশি পন্যের দোকানি ছিলেন। সোমবার দিবাগত রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নাবাতিয়ার শেখ রগেব হরব হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান যে, তার হৃদক্রিয়া বন্ধ হওয়ার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মরাদেহ ঐ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
হামিদুল ইসলাম শ্রাবণ আমরা প্রবাসি বাংলাদেশি সংগঠন লেবানন নামক সামাজিক সংগঠনেরও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি লেবানন শাখার নবনির্বাচিত সভপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার সহ লেবানন বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তাছাড়া আরো শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অন্যান্য রাজনৈতিক ও কমিউনিটির সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা জানান, হামিদুল ইসলাম শ্রাবণ একজন প্রবাসী এটাই তাঁর বড় পরিচয়। তাঁর মরাদেহ যত দ্রুত দেশে পাঠিয়ে দাফন করার ব্যবস্থা করা হয় সেটাই উত্তম। তাঁরা হামিদুল ইসলাম শ্রাবনের মরদেহ অল্প সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে, হামিদুল ইসলাম শ্রাবণের মৃত্যু খবর দেশে তাঁর পরিবার জানার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারই ছোট ভাই হুমায়ুন কবির। তাঁর ভাইয়ের লাশ যেন অতি দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হয় সেই জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে লেবাননের রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রথম অবস্থায় শ্রাবনের লেবাননে বৈধ কাজপত্র রয়েছে জানা গেলেও পরে জানা যায় তাঁর আকামার মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ন হয়েছে, তিনি আকামা নবায়ন করেননি। তাই আইনি জটিলতা শেষে অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর লাশ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস।