আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন যথাসময়ে সম্মেলনের কথা। এবারের সম্মেলনে উদ্যমী তরুণদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা ভাবছে টানা তিনবার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ।
মন্ত্রিসভা, সংরক্ষিত মহিলা আসন এবং উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই পর্বে নতুনদের স্থান দেয়ার পর দলের চালিকাশক্তিতেও নতুনত্বের কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে ক্ষমতাসীনরা।
তবে এ কার্যক্রম মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা নির্বাচনের জন্য তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। জুন থেকে তৃণমূলে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, সরকারের পাশাপাশি নতুন-পুরনোর মিশেলে দলকে পরিচালনা করা হবে। এরই মধ্যে মন্ত্রিসভায় নতুনদের স্থান দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংরক্ষিত মহিলা আসনেও নতুনদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
একইভাবে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুনদের তুলে আনবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরই মধ্যে তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্বের সন্ধানে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে নেতৃত্বে অনেক নতুন মুখ আসবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি সম্মেলনেই গড়ে ৩০ ভাগ নতুন মুখ আসছে।
আগামী সম্মেলনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, তরুণরা নতুন করে অনেক কিছু ভাবতে পারে। তাদের চিন্তা-চেতনা অনেক তীক্ষ্ণ। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোয় স্থান দেয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, সরকারের ডেল্টাপ্ল্যানের মতো সংগঠন নিয়েও সুদূরপ্রসারী চিন্তা করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকারে ও দলে যেমন নেতৃত্ব দরকার, সেটাই নির্ধারণের কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সবক্ষেত্রে নতুনদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
তাঁরা বলেন, জাতীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ শুরুর করার কথা ছিল মার্চ-এপ্রিলে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের জন্য তা পিছিয়ে যায়। নির্বাচনের পরপর দ্রুত সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হবে। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের নির্বাচিত হন।