সিলেট-মৌলভীবাজার রোডে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় উওর ফরিদপুর ব্রিজের পুন:নির্মাণ কাজ গত তিন সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে। তবে যানবাহন চলছে বেইলি ব্রিজ দিয়ে। আর নিচে কাজ চলছে ব্রিজের। কিন্তু এই সংস্কার কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ঢালাইর কাজে পুরনো রড ব্যবহার নিয়ে। অবশ্য ঢালাই পড়ার আগেই সব নস্যাৎ হয়ে যায়।
বিশেষ এক সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কাজ পরিদর্শনে আসেন দুদকের টিম। তাঁরা সরজমিনে এতে দেখতে পান বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি চলছে। আর নিচে ব্রিজের ঢালাই ভেঙ্গে সেই রড সোজা করে নতুন ঢালাইর কাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছ। এই খবর দুদকের নাম্বারে কে বা কারা জানালে দুদক সরজমিনে আসে।
দুদকের মহাপরিচালক(প্রশাসন) ও অ্যাফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে দুদকের সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালাক মোস্তাফা বোরহান উদ্দিন ও উপসহকারী পরিচালাক মো: আশরাফ উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত অ্যানফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযানে অংশ নেয়। এবং সাথে দুদক টিমের সঙ্গে অভিযানে আরো অংশনেন ফেঞ্চুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা হক।
দুদক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সিলেট- মৌলভীবাজার সড়কের উওর ফরিদপুর এলাকার ৪০ ফুট বাই ১৭ ফুট ব্রিজের সংস্কারে পুরাতন ব্রিজের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। দুদক টিমের সঙ্গে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলেেউপস্থিত হয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় ঠিকাদারকে এক বছরের জেল দেয়া হয়। এই কার্যক্রমের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সড়ক ও জনপথের সিলেট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী।
এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশে ওই ব্রিজের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মূল কাজ এখন শুরু হয়নি। পাথর, রড, বালি, সিমেন্ট এখন ও আসেনি। মুল ঢালাইর আগে রড গুলো সরিয়ে ফেলা হবে। এ নিয়ে এত হইচই করার কিছু নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।