সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমদ চৌধুরী বলেছেন, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একটা সময় ছিল যখন আমরা কয়েক মাইল কাদা পানি মারিয়ে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসতাম। বর্তমানে যেভাবে রাস্তাঘাট সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে অভুতপূর্ণ পরিবর্তন ও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা সে তুলনায় আমরা কিছুই পাইনি। তারপরও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। এখনকার শিক্ষার্থীরা চেষ্ঠা করতে হবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় হবার। আমাদের সময়কার নবগ্রাম হাজী মোঃ ছাইম উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষকরা ছিলেন পাঠদানে নিবেদিত প্রাণ। তাঁরা কখনো বেতনের আশা করে পাঠদান করাতেন না। তাঁদের আন্তরিক মনোভাবের কারণে আজ এ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা দেশে বিদেশে বড় বড় পদে আসিন আছেন। আজ শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের মাদারবাজারে তাঁর শিক্ষাগ্রহণকালীন নিজ বিদ্যালয় নবগ্রাম হাজী মোঃ ছাইম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্ত ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে তাঁর সম্মানে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান ও সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিচারপতি খিজির আহমদ চৌধুরীকে শিক্ষা প্রদানকারী সাবেক শিক্ষক আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মনসুর আলী ও দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন – ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী, বালাগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, ইউএনও মো. আনিছুর রহমান, ওসি এসএম আল মামুন, উসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল আজাদ ফারুক, ইফতেকার হোসেন, তাহির আলী, প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও আজিজ আহমদ সালিক।
তাছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন – ড. মাওলানা অধ্যক্ষ শহীদ আহমদ বোগদাদী, সাবেক ছাত্র এডভোকেট রুহুল ইসলাম, ডা: মোতাহির আলী, সাইফুল ইসলাম, ফুজায়েল আহমদ, দবির আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন, সাবেক ছাত্র হাফিজ লায়েক আহমদ।
১৯২৮ সালে স্থাপিত নবগ্রাম হাজী ছাইম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে প্রথম ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন একই এলাকার বেরাখাল রাঙ্গাপুর গ্রামের কৃতি সন্তান বিচারপতি খিজির আহমদ চৌধুরী।