সিলেটে মন্ত্রী ও মেয়র দুই ঘরানার রাজনীতিবিদ। ড. মোমেন আওয়ামী লীগ নেতা।আর আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির দীর্ঘদিনের নেতা। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও। কৃষক দলের নতুন দায়িত্বও পেয়েছেন। কিন্তু সিলেটে যেন বিচরণ করছেন ভিন্ন এক আরিফ। তাকে নিয়ে খোদ বিএনপির ভেতরেই নানা কথা-বার্তা। এই জল্পনা দীর্ঘ দিনের। তবে- এতে ভ্রুক্ষেপ নেই আরিফের। তিনি সমালোচনা এড়িয়ে তার মতো করে চলছেন।
অনুষ্ঠানের মঞ্চে অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিটি কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তারা সবাই হাত তুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে ড. এ কে আবদুল মোমেন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন-এ উন্নীত করা, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ বড় বড় প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করতে তার সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ কাজগুলো হয়ে গেলে সিলেটের উন্নয়নের পথ প্রসারিত হবে। মানুষকে সহজ সেবা দেয়া সম্ভব হবে। নির্বাচনের পর সিলেট নগরের নতুন ১৪টি প্রাইমারি স্কুল ও ৩টি মাদরাসার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৮টি স্কুলের অনুমোদন ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। যেখানে স্কুল প্রয়োজন আমি তা করে দেবো। আপনারা কেবল জায়গার ব্যবস্থা করবেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ১০নং ওয়ার্ডের ‘এমজিএসপি’ প্রকল্পের আওতায় ঘাসিটুল-লামাপাড়া-মোল্লাপাড়া হয়ে সুরমা নদী পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে ও পরে মন্ত্রী নগরীর ৮নং ওয়ার্ডে গোয়ালিছড়া, কালীবাড়ী ছড়া, ১নং ওয়ার্ডে মালনীছড়া, মিরের ময়দান, ২নং ওয়ার্ডে রিকাবীবাজার ৪নং ওয়ার্ডের দর্শনদেউড়ি ও দরগাহ মেইন রোড, ১৪নং ওয়ার্ডে চালিবন্দর ও ২০নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।