শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

কমলগঞ্জে প্রতারক জসিমের বিরুদ্ধে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ



একটু সুখের খুঁজে বিদেশ যাবার জন্য ইচ্ছে পোষণ করে দালালচক্রের হাতে প্রতারিত হচ্ছেন এমন লোকের সংখ্যা আমাদের দেশে অহরহ। এইতো সম্প্রতি এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া। আকলাছ মিয়ার অভিযোগ নিজ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের মরিচা গ্রামের মৃত মহব্বত উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন(৩৫) তাঁর ছেলেকে ফ্রান্স নেবার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

তিনি ছেলে এবং পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের ১৩ তারিখে তিনজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে জসীম উদ্দীনের কাছে ছেলের ভিসা পাবার জন্য পাসপোর্টসহ ৪ লাখ টাকা দেন। দারদেনা ও ব্যবসায়ী মুদি দোকানের মালামাল বিক্রি করে এবং ব্যাংক ঋণ মারফতে আনা টাকা গুলো তিনি জসিম উদ্দিনের হাতে দেন। টাকা হাতে পেয়ে একের পর এক প্রতারকের মত তারিখ করতে শুরু করে জসিম উদ্দিন।

তারিখের পর তারিখ ও গ্রাম্য মাতব্বরদের বিভিন্ন আশ্বাসের কখা শুনতে শুনতে কেটেছে তাঁর এতটি মাস। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জসিম ফোন করে বলে এ মাসের ১৯ তারিখে শামীমের ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রাত ১০টায় ফ্লাইট হবে ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে। জসিমের এই মিথ্যে কথার সরল বিশ্বাসে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিদেশ যাবার জন্য বিমানবন্দর গিয়ে  বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ জানায় বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া। এবং জসিমের মোবাইল ফোনটি সেই সময় বন্ধ থাকায় মোবাইলে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তার সাথে। তাই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন অসহায় আলকাছ মিয়া। আকলাছ মিয়ার উপলব্ধি হয় জসিম এক প্রতারক ছাড়া আর কিছু নয়।

তাই বিষয়টি সমাধানকল্পে গত মাসের ১৫ তারিখ প্রতারক জসিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেন করিমপুর এলাকার সাবেক মেম্বার ও পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোরশেদ আলী। জসিম উত্তর দেন দু’এক দিনের ভিতরে এসে আপনাদের এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আপনাকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করছি। কথা বলার পরের দিন থেকেই আবার প্রতারক জসিম উদ্দিনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে বলে জানান খোরশেদ আলী। এ বিষয়ে জসিমের চাচা কনাই মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তিনি শুনেছেন তার ভাতিজা নিখোঁজ রয়েছে। প্রতারক জসিমের স্ত্রী লুবনা বেগম বলেন আমার স্বামী কোথায় আছে আমি বলতে পারব না। এদিকে ভুক্তভোগী আলকাছ মিয়া ও শামীম মিয়ার পরিবার টাকা আত্মসাতের কারণে টাকাটি ব্যাংক ঋণ থাকার ফলে প্রতি মাসে তাদেরকে সুদ পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এবং টাকাটি ফেরত পাওয়ার জন্য কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ সহ গ্রাম্য সালিশ বৈঠককারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!