বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত ট্রাফিক শৃঙ্খলা ও সচেতনতাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কমিশনার বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যাই। জবাব দিতে পারি না। কিন্তু এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার। জনগণ যাতে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করে, সেজন্য ট্রাফিক বিভাগকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি। দুর্ঘটনা ঘটানোয় বাস যেমন আটক করেন তেমনি দুর্ঘটনার কারণ হলে পথচারীকেও আটক করুন। আটক করে মিডিয়াকে দেখান, দেশের মানুষকে দেখান যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে, জেব্রা ক্রসিং ব্যতীত রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। টানা দুইদিন আন্দোলনের পর গতকাল সরকারের আশ্বাসে ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেলে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিতের কথা জানান বিইউপির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদুজ্জামান।
তাওহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের যেসব দাবি ছিল সেগুলো সময় সাপেক্ষে মেয়র মেনে নিয়েছেন। যে তিনটি দাবি ফোকাসিং ছিল তার মধ্যে রয়েছে, আইন প্রক্রিয়ার মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব (সর্বোচ্চ ৩০ দিন) আবরারের দুর্ঘটনার চার্জশিট দাখিল করতে হবে, পাশাপাশি আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সু-প্রভাত এবং জাবালে নূর বাসের সমস্ত রুট পারমিট বাতিল করতে হবে। জেব্রা ক্রসিং, বাস স্টপেজ ও ফুটওভার ব্রিজ যেখানে দরকার সেখানে তা নিশ্চিতের জন্য ৭ দিনের মধ্যে পরিকল্পনা নিতে হবে।