বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ আজ শনিবার এ আদেশ দেন।
গত ১৮ মার্চ এই বেঞ্চ আসামি রুহুলকে এক বছরের অন্তবর্তিকালীন জামিন দিয়েছিল। দু’দিন পর জামিন প্রাপ্তি নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরে রাষ্ট্রপক্ষ আসামির জামিন বাতিল চেয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে দরখাস্ত (রিকল পিটিশন) দেয়। ওই পিটিশনটি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আজ শনিবার সকালে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ বসে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও চর জুবলি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার ছিলেন। ঘটনার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ধর্ষণের মামলা গত ৪ জানুয়ারি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং নোয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়। গত ৪ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদেশে বলেন, রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় এটা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে এক গৃহবধু গণধর্ষনের শিকার হন। জামিনপ্রার্থী এই আসামি রুহুল আমিনের হুকুমে ও নির্দেশে অপরাপর আসামিরা অভিযোগকৃত গণধর্ষনের ঘটনা ঘটায় মর্মে ভিকটিম নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন। মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় জামিন না মঞ্জুর করা হলো।
এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদনে বলা হয়, জামিন আবেদনকারী পেশায় আইনজীবী মুহুরি। মামলার এজাহারে নাম নেই। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে আসামি করা হয়। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে সুনির্দ্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাকে জামিন দেওয়া হোক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী ৩১ ডিসেম্বর চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা ঘরে ঢুকে আমাকে ও স্ত্রীকে মারধর করে। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসামিরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
সূত্র : ইত্তেফাক/ইউবি