কমিটির পঞ্চম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে মতিঝিলে চক্রাকার এ বাস সার্ভিস চালু হবে। সেই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তরায় এই চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু হবে। এই সেবার মাধ্যমে কম খরচে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। পাশাপাশি যানজট নিরসনেও চক্রাকার বাস সার্ভিস ভূমিকা রাখবে। প্রতিটি বাসেই র্যাপিড পাস কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া দেওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট কোম্পানির তত্ত্বাবধানে সাড়ে চার হাজার বাস নামানো হবে। পুরো রুট রেশনালাইজেশন কাজ শেষ হতে দুই বছর সময় লাগবে। কারণ এখানে টার্মিনাল, ডিপো, চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব চক্রাকার বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রক্রিয়ার ছোট ছোট অংশ। ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-আজিমপুর রুটের চক্রকার বাস সেবা এরইমধ্যে চালু হয়েছে। এখন হয়তোবা কিছুটা ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই যাত্রীরা এর সার্বিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে সভায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. রেজাউল আলম, সড়ক পরিবহন নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালক রকিবুর রহমান, গণযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সালাহ্উদ্দীনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে গত বছর এই কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।
১০ সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে। কমিটিতে ডিএনসিসির মেয়রকে যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান, রাজউক চেয়ারম্যান, ডিএমপি কমিশনার, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক।