শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

দেওয়ান আব্দুর রহিম হাই স্কুলের ৯৮ ব্যাচের এক সহপাঠিনীর কন্যার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান 



বালাগঞ্জে অসহায় সহপাঠিনীর অসুস্থ কন্যার চিকিৎসা জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এন্ড কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্কুল জীবনের সহপাঠিনীর কন্যার চিকিৎসা জন্য বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী মো. আবুল মিয়া, মাসুকুর রহমান জাহিদ, রুহেল মিয়া, লিটন আহমদ রফু, আবুল হোসেন রুসন, জয়নাল আহমদ, নাজমা বেগম, আজিজুর রহমান, বদরুল ইসলামের পক্ষ থেকে ৫১ হাজার ৩শ ৫০টাকার আর্থিক অনুদান অসুস্থ মুমিনা ইয়াসমিনের মা স্বপ্নার হাতে তুলে দেন সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. লোকন মিয়া।

এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এডভোকেট ইকবাল আহমদ, ব্যাংকার আব্দুস সালাম ফয়েজ, সায়েক আহমদ, খন্দকার আব্দুল মুুমিন, ডা. ময়নুল হক এবং বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক এসএম হেলাল।

প্রসঙ্গত, বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুমিনা ইয়াসমিন দীর্ঘনি যাবত জটিল রোগে
আক্রন্ত। তার পিতা ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় ১৬বছর আগের মুমিনার জন্মের পূর্বেই নিরুদ্দেশ হন। এখনো তিনি নিখোঁজ। তখন থেকেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের শিওরখাল গ্রামস্থ হতদরিদ্র পিতা আকবর আলীর বাড়িতে জীবনযাপন করছেন মুমিনার মা স্বপ্না বেগম। স্বপ্না বেগম, ১৯৯৮ সালে দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে সংসারী জীবনের স্বল্প সময়েই মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীকে হারিয়ে একা হয়ে পড়েন। তারপরও, একমাত্র মেয়েকে নিয়েই স্বপ্না বেগমের জীবন সংগ্রাম শুরু। নিজে ঘরে বসে টুকটাক সেলাইয়ের কাজ করেই মেয়ের পড়ালেখা আর সংসারের খরচপাতি চালাতেন স্বপ্না বেগম। ইতিমধ্যে স্বল্প আয়ের এবং সঞ্চয়ের পুরোটাই ব্যয় হয়েছে কন্যার চিকিৎসায়। তবু মুমিনাকে চিকিৎসা ও পড়ালেখা করিয়ে মানুষ করার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্চেন অসহায় স্বপ্না বেগম। এরই মাঝে মুমিনা তার ১১বছর বয়স থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

বর্তমানে মুমিনা দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল এণ্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু বিগত কয়েক মাস যাবত সে গুরুতর অসুস্থ, শয্যাশায়ী রয়েছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা গ্রহণের পর তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মুমিনার পূর্ণ সুস্থতার জন্য উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আলসারসহ বিভিন্ন রোগ ধরা পড়েছে মুুমিনার।
স্বামী হারানো স্বপ্না বেগম তাঁর একমাত্র মেয়ে মুমিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন। মেয়ের চিকিৎসার সামর্থ্যে কুলাচ্ছেনা তাঁর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রবাসীসহ এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ ও নিজ সহপাঠিদের দারস্থ হয়ে মেয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহের জন্য মুমিনার সহপাঠীরাও বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে স্বপ্না বেগম সহপাঠিদের আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে আলাহ্ পাকের শুকরিয়া আদায় করেন তিনি সহপাঠীদের প্রতি কৃতঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মেয়ের জন্য সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

 

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!