সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাস থেকে উদ্ধারের পর সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ‘আইসিইউ’তে দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর এখন জ্ঞান ফিরেছে বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিনের। তবে জ্ঞান ফিরলেও পুরোপুরো সুস্থতার জন্য তাঁকে আরো হাসপাতালে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন গতকাল রোববার (২১ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বাসা থেকে বালাগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। আনুমানিক দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি সিলেট ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর থেকে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরের উদ্দেশ্যে বাসে উঠেন। তাজপুর নেমে তাঁর বালাগঞ্জ যাবার কথা ছিল। তবে অনুমান করা হয় তাজপুর আসার আগেই তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। সিলেটগামী চলন্ত বাসটি স্থানীয় লালাবাজার এলাকায় পৌঁছার পর বাসের কন্ট্রাক্টর ভাড়া চাইতে গিয়ে তাকে নিদ্রাচ্ছন্ন দেখতে পায়। পরবর্তীতে সিলেট কদমতলী বাসস্টেশনে সকল যাত্রী নামতে শুরু করলে তাঁকে ডাকা হয়। এ সময় তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাসে থাকা যাত্রী সেজান ও তার আব্বা সহ অন্যরা উদ্ধার করে পথচারীদের সহযোগিতায় বিকাল সাড়ে আড়াইটার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সেজান তার ফেসবুকে ছবি দিলে গুরুতর অসুস্থ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিনের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে আসেন। এবং এক পর্যায়ে তাঁর অবস্থার বেশি অবনতি হলে গত রাত সাড়ে ১১টায় তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসাধীন থাকার পর গভীর রাতে তাঁর জ্ঞান ফিরে। তাঁর অবস্থা এখন অনেকটা আশঙ্কামুক্ত হলেও তাঁকে আরো হাসপাতালে থাকতে হবে।
এদিকে গুরুতর অসুস্থ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিনকে দেখতে গতকাল রোববার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান – সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান আলহাজ্ব আবদাল মিয়া, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনহার মিয়া, বালাগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চন্দ্র দাশ, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সামস্ উদ্দিন সামস্, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য লোকন মিয়া, দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আলম, পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস, বালাগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুজ্জামান চৌধুরী বাছা, ছাত্রলীগ নেতা বিষনু বৈদ্য, সৈয়দ মোস্তাক, নয়ন তালুকদার, রঞ্জিত অমিত। পরে দেরিতে রাত্রে দেখতে আসেন – বালাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জুনেদ মিয়া, গোলাম মোস্তফা বাচ্চু, সাংবাদিক রজত দাস ভুলন, হুসাইন আহমদ, যুবলীগ নেতা আইনুর আহমদ রুমন, প্রদীপ দাস, আমিনুল হক সুমন, ইফতেখার রাকিব, লিলু মিয়া, আলী হোসেন প্রমুখ।