মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল আলমের উপর হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮ ঘটিকার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা কৃষক লীগের নেতা সাবেক কাউন্সিলর মশাহিদ আলীর সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন – মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাকির হোসেন পান্না, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মসুদ আহমেদ মসুদ, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক কাউন্সিলর রাসেল মতলিব তরফদার, কমলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন একটি কুচক্রী মহল আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে বানচাল করার লক্ষ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা রাতের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। প্রতিবাদ সভা চলাকালে এ স্থান দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এবং প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই প্রতিবাদ সভার কারণে বহু গাড়ি রাস্তায় আটকা পড়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে দিন কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে ছুরিকাহত করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলগঞ্জ সরকারী গণ-মহাবিদ্যালয়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনায় উপজেলা ছাত্রলীগ এর সাবেক সম্পাদক সায়েদুল আলমকে পৌরসভাধীন নছরতপুর এলাকার শওকত মিয়ার ছেলে সরকারী গণ-মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সাকের মিয়া উপর্যুপরি ছুরিকাহত করে পালিয়ে যায়, পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দ্রুত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদিকে এঘটনার পর উত্তেজনা দেখা দিলে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক চম্পক দাম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক দাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।