বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে দলটির নেতারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সরকার পতনের আন্দোলন একসঙ্গে চলবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে। শনিবার দলের নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্তিতে বিএনপির ডাকা সমাবেশ থেকে আগামী শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
আজকের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি , নির্বাচন করেছি। এবার খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক কারণে বন্দী রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ, নিজে খেতে পারেন না, চলতে পারে না। অন্যের সাহায্য নিয়ে চলতে হয়। নিজের হাতে খেতেও পারেন না। ইতোমধ্যে তার ওজন অনেক কমে গেছে। সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে দুই বছর বিনা দোষে তাকে আটক করে রাখছে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভায় বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ। অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থেকেও বক্তব্য দেননি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ , মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবীর খোকন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতা-কর্মীরা।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বন্দী অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হলো।