শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিলেতে সাকিবে উৎফুল্ল প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরবাসীর মিষ্টি মুখ



বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ে সারাদেশের ন্যায় উৎফুল্ল বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরবাসীও। তবে বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরবাসীর বাড়তি উৎফুল্লতার একটি কারণ ও আছে। যেটা হচ্ছে তানজিম হাসান সাকিবকে ঘিরে। তানজিম হাসান সাকিব যে অবিভক্ত বালাগঞ্জের সন্তান। যার অসাধারণ ক্রীড়া নৈপূণ্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বিশ্বকাপ জয়ে সহায়তা করে।

তাই স্বাভাবিক ভাবেই সাকিবকে ঘিরে একটু বাড়তি উৎফুল্লতা বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে বিরাজ করছে। আর বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর সিলেটের অন্যান্য এলাকার মত প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় সেই উৎফুল্লতার রেশ সুদূর বিলেতে গিয়ে ও পৌঁছেছে। এলাকার যুক্তরাজ্য প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরবাসীরা গত ১৭ ফেব্রয়ারি পূর্ব লণ্ডনের একটি রেস্তোরায় বাংলাদেশের বিজয় ও সাকিবের অসাধারণ নৈপূণ্যে উচ্ছাস প্রকাশ করে একসাথে মিষ্টি মুখ করেছেন।

প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও কমিউনিটি নেতা জামাল খানের পরিচালনায় বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরবাসীর এই সমবেত মিষ্টি মুখ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসেক্স ও সাসেক্স রিজনের কোচ সহিদুল আলম রতন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – কমিউনিটি নেতা সফিক উল্লা, আহাদ চৌধুরী, আনসারুল হক, মশিউর রহমান মসনু, ছাদ মিয়া, সৈয়দ তাজির উদ্দীন মান্নান, ইশতিয়াক হোসেন দুদু, আজিজুর রহমান, মিজানুর রহমান মীরু, সিরাজুল ইসলাম তছলু, নাজমুল হক, ফয়জুর রহমান ফয়েজ, আবুল কাসেম, সাজন খান, আবুল লেইছ, রুহেল মিয়া, আজম আলী, মোহাম্মদ শাহজান, সাহ ইউসুফ, আরিফ ময়নুল হেসেন সালেহ, আহমদ শাহজান আলম,সিরজুল ইসলাম তছলু, রাজু মিয়া, সিরাজুল ইসলাম মামুন, কিনু মিয়া, আজাদ মিয়া, নজরুল ইসলাম, আমিনা আলী প্রমুখ।

সাকিব ফাইনাল ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার আগ্রাসী বোলিংয়ে ম্যাচের প্রথমেই ভারতকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। প্রথম ৩ ওভারে একটি ওয়াইড ছাড়া কোনো রান দেননি এই যুবা। ফলে ৩ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব সেরার মুকুট পরে সাকিবের দল।

তানজিম হাসান সাকিবের মূল শিকড় বালাগঞ্জ ইউনিয়নের তিলকচাঁনপুর গ্রাম। সাকিব গৌছ আলী ও সেলিনা পারভীন দম্পতির সন্তান। ৩ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে সাকিব ৩য়।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!