রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে



অবশেষে দীর্ঘদিন পর সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিগত প্রায় দুই যুগ থেকে এ নির্বাচন হচ্ছে না। এ জন্য অনেক সভা-সমাবেশ এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এর এক পর্যায়ে একই কারণে স্থগিতকৃত পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ায় দশঘর ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে দারুন হতাশা বিরাজ করতে থাকে। তখন এ ব্যাপারে নির্বাচন কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য দশঘর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তারা ইউনিয়নবাসীকে সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। তাই তখন তাদের কার্যক্রম নিয়ে সংশ্লিস্ট সকলের মধ্যে সন্দেহ সৃস্টি হয়। এ অবস্থায় দায়িত্বগ্রহনকারীরা পার্শ্ববর্তী অন্য একটি ইউনিয়ন দেওকলস এর সাথে আরেকটি মামলা সংক্রান্ত কারণে এ নির্বাচন দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে দায়সারা গোচের উত্তর দিতে থাকেন। যদিও দশঘর ইউনিয়নের মামলার সাথে দেওকলস ইউনিয়নের মামলার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। এমতাবস্থায় এলাকাসী হতাশ হয়ে পড়েন ও বিকল্পভাবে তাদের দাবী আদায়ের জন্য কাজ করতে থাকেন ও স্থানীয় পীরের বাজার, দশঘর বাজার ও বিশ্বনাথ বাজারের পুল সংলগ্ন স্থানে ব্যাপক সমাবেশ করেন।

এমতাস্থায় ‘দশঘর ইউনিয়ন উন্নয়ন পরিষদ ইউকে’ নামে একটি সংগঠন দেশে-বিদেশে সম্মিলিতভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে আন্দোলন ও সভাসমাবেশ অব্যাহত রাখে। যুক্তরাজ্যেও এ ব্যাপারে কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সংগঠনের সভাপতি মোঃ আজম আলী ও সাধারণ সম্পাদক সাহিনুর রহমান।
অতি সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ ইউকে এর প্রেসিডেন্ট ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা সাংবাদিক রহমত আলী নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন যে, বিষয়টির মামলা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হয়েছে। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আগামী রমজানের পূর্বে অথবা পরে অন্যান্য নির্বাচন স্থগিতকৃত ইউনিয়ন পরিষদের সাথে এ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জনাব রহমত আলী আরো জানতে পারেন, সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘এইচ এস সি’ এবং মেম্বার পদে ‘এস এস সি’ পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা রাখার বিধান সংক্রান্ত যে খবর সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। সরকারীভাবে এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি, হয়তো আগামীতে তা হতে পারে। যেভাবে করা হয়েছে প্রাইমারী স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি পদের ক্ষেত্রে।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস পূর্বে দেশের প্রতিটি সরকারী প্রাইমারী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে যিনি থাকবেন তাকে বি এ পাশ পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার বিধান রাখা হয়েছে। আগামীতে হাই স্কুল সমুহের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ক্ষেত্রেও এ বিধান করা হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!