উল্লেখ্য , নববর্ষের দিন তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামে আসেন সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে কর্মরত রেনু মিয়া। সিলেট হাসপাতালে চাকরিরত রেনু মিয়া বাড়িতে আসার সংবাদটি জানতে পেরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জীর নির্দেশনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির রেনু মিয়ার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে হোম কোয়ারাণ্টাইন মানতে লকডাউন ঘোষণা করেন। খবরটি বালাগঞ্জ প্রতিদিন ও সুনামগঞ্জ২৪ ডটকমে প্রকাশ হয়।
লকডাউনে থাকা পরিবারের দাবি ছিল, লকডাউন ঘোষণার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এ পরিবারের আর কোন খোঁজ খবর নেয়নি উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ফলে পরিবারে খাবার সংকটের কারণে গত বুধবার রাতে খাবার না খেয়েই রাত কাটিয়েছিল পরিবারটি।
পরিবারের সদস্য মবিন নুর আহমেদ জানান, আমাদের পরিবারটি মূলত স্বচ্ছল পরিবার। কিন্তু লকডাউন থাকার কারণে বাহির থেকে খাদ্যসামগ্রী আনা সম্ভব হয়নি। ফলে খাবার সংকট দেখা দিয়েছিল।
মবিন নুর আহমেদ আরো জানান, আমাদের পরিবার থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যাঁরা আমাদের অবস্থা জেনে অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন। তবে আমাদেরেএখন লকডাউন মুক্ত ঘোষণা করায় আমরা এখন বাজার থেকেই খাদ্যসামগ্রী আনতে পারব। এ জন্য আমাদের জন্য পাঠানো খাদ্যসামগ্রীগুলো আমার পার্শ্ববর্তী লকডাউনে থাকা অপর একটি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছি।