বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের গহরপুর রতনপুর ইটভাটার ম্যানেজার ধীরাজ পালকে (৬০) হত্যা মামলায় ইটভাটার মালিকসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার (৩১ মে) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমদের ভার্চুয়াল আদালত তাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পিঙ্কু চন্দ্র দাস।
যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন, ইটভাটার মালিক ও ক্যাশিয়ার মেরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ইটভাটার ব্যবস্থাপক নিহত ধীরাজ পালের সহকারী সুহেদ ও সিএনজি অটোরিকশা চালক রুবেল। এই তিনজনকে ধীরাজ পাল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। মেরাজুল, সুহেদ ও রুবেল গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার থানার অফিসার ইনচাজ মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, নিহতের বড় ছেলে প্রভাকর পাল বাপ্পা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। ক্লু উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।
উলেখ্য, গত শুক্রবার (২৮মে) দুপুরে বালাগঞ্জের গহরপুর রতনপুর ব্রিকফিল্ডের ব্যবস্থাপক ধীরাজ পালকে তার কর্মস্থলে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এরপর দুর্বৃত্তরা ব্রিকফিল্ডের টাকাপয়সা লুট করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা ধীরাজ পালকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক
করে। পরে শনিবার দুপুরে ধীরাজের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং ওইদিন বিকেলে মরদেহের সৎকারের করা হয়। এরপর রাতে ধীরাজের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।