সিলেট ৩ আসনের উন্নয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক বলেন- গণতন্ত্র রাক্ষার্থে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন আজ সকল জনগণের দাবী। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত করবে তাদের পছন্দের প্রার্থী। আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব এবং সৎ, যোগ্য লোক দেখে দিব। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌহার্দ্য। তাই আমরা একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নিবার্চন দাবী করছি।
সিলেট ৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে গতকাল (২৭ জুন) রবিবার দুপুরে মেন্দিবাগস্থ একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আতিকুর রহমান আতিক উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন- আমি বিগত ৪১ বছর এলাকার উন্নয়নে জনগণের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। তিনি আসন্ন উপ-নির্বাচনে তাকে দলমত নির্বিশেষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে আতিকুর রহমান আতিক গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে করে বলেন- আমার জীবনের রাজনীতি শুরু ১৯৭০ সালে সিলেট সফরে আসা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গলায় মালা দিয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর আর্শীবাদ নিয়ে। ১৯৮৬ সালে আমি সিলেটের প্রথম গোল্ডকাপ ফুটবলের প্রবর্তন করি। যা থেকে সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন জাগরন শুরু হয়।
আমি ১৯৮৭ সালে আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমি দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে কৃষক সমাবেশ করেছিলাম। তখন আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে সুযোগ দিয়েছিলেন সেজন্য তাকে অভিনন্দন জানাই।
আমি ১৯৯১ সালে সিলেট ৩ আসনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলাম সামান্য ভোটের ব্যবধানে আমি পরাজিত হয়েছিলাম। সিলেট ৩ আসনের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানার উন্নয়নে অবদান রাখতে সচেষ্ট হয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় টিপাইমুখ লংমার্চ আন্দোলনে আমি কনভেনার হিসাবে সংগ্রাম করেছি।
সিলেট বিভাগ গঠনের আন্দোলন সহ সিলেট বাসীর ন্যায্য দাবী দাওয়া বাস্তবায়নে আমি একজন অগ্রনী সৈনিক হিসাবে কাজ করেছি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের সিলেট রয়েলস এর কর্ণধারের পাশাপাশি ক্রীড়া উন্নয়নে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি।
আতিক আরো বলেন- বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সিলেটকে দ্বিতীয় জন্মভূমি মনে করতেন। তিনি সিলেটের অন্যতম বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল সেতু, ওসমানী বিমানবন্দর সহ বহু উন্নয়ন কাজ উপহার দিয়েছেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে উপজেলা ব্যবস্থা সহ মসজিদ মাদ্রাসার বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছিলেন। দেশের মানুষ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে তাঁর কর্ম গুনে আজীবন শ্রদ্ধাভরে মনে রাখবে।
আতিকুর রহমান আতিক আরো বলেন- আমি যদি এই আসনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হই ইনশাল্লাহ আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাবো। তিনি শুরুতেই সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. কুনু মিয়া ও জাতীয় পার্টির সিলেট মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি এডভোকেট কাজী আশরাফ উদ্দিন আহমদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মুজিবুর রহমান মুজিব, সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুস সামাদ নজরুল, আহসান হাবিব মঈন, আলতাফুর রহমান আলতাফ, বাসির আহমদ, মো. দৌলা মিয়া, মরতুজা আহমদ চৌধুরী, মামুনুর রশিদ মামুন, আতাউর রহমান আফরোজ, সাহেল রাজা চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর খান, দিলওয়ার হোসেন, হোসেন আহমদ হুসিয়ার, আখতার হোসেন, মঈনুল ইসলাম, সিদ্দেক আলী, হাসান আহমদ- প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি