অসুস্থ অবস্থায় অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক এমএফ আলী ফয়েজ। পরিবারের একমাত্র উপার্যক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ায় চিকিৎসা দূরের কথা অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে হচ্ছে স্ত্রী সন্তান নিয়ে।
জানা যায়, সাংবাদিক ফয়েজ ২০১৫ সালে হঠাৎ করে ব্রেন স্ট্রোক করেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ার কারণে এসময় তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক সহযোগিতায় চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আবারো ব্রেন স্ট্রোক করলে তার শরীরের একপাশ অবস হয়ে গেলে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় চিকিৎসাও নেন। কিছুটা সুস্থ হলেও বর্তমানে মুখ ও ডানহাত প্রায় অবস রয়েছে।
তার পরিবারে স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সন্তানরা বয়েসে এখনো শিশু। তিনি একমাত্র উপার্জক হওয়ায় অসুস্থার পর থেকে তার পরিবারে নেমে আসে চরম অন্ধকার। তিনি দীর্ঘ দিন স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাক, জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন তিনি।
স্থানীয় উসমানপুর ইউনিয়নের থানাগাঁও নিয়ামতপুর গ্রামের সাংবাদিক ফয়েজের বাড়িতে তাকে দেখতে গেলে এ প্রতিবেদককে আক্ষেপ করে তিনি
বলেন, ভাই! আমার সবকিছু বিফল গেছে। বাচ্চাদের উপায় নাই, এখন একমাত্র আল্লাহ ভরসা। শরীর অবস হয়ে যাওয়ায় তার কথাগুলোও মুখে ঝড়িয়ে যায়।
সাংবাদিক ফয়েজের সহধর্মীনি লাভলী চৌধুরী বলেন, দেশ-বিদেশের অনেক প্রিয়জন আমাদের পাশে এসেছেন। আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন, এসব টাকায় উনার চিকিৎসা হয়েছে। বর্তমানে অসুস্থ স্বামী ও ৩ শিশু সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন কিন্তু প্রাপ্ত টাকা স্বামীর চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে।
বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারিতে অসহায় মানুষরা বিভিন্ন ভাবে সরকারি সহায়তা পেলেও আমরা বঞ্চিত রয়েছি। বসতঘরের পাশে নিজস্ব একটা দোকান আছে, কিন্তু টাকার অভাবে মালামাল আনা সম্ভব হচ্ছে না। কারো সহযোগিতা পেলে দোকানটি চালু করতে পারতেন বলে জানিয়ে তিনি সবার কাছে দোয়া ও সহযোগীতা চান।
এদিকে অসুস্থ সাংবাদিক এম এফ আলী ফয়েজের সুস্থতা কামনা করে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাহফিলে মাওলানা কামরুজ্জামান খান আফজালসহ আলেমসমাজ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা শরিক ছিলেন।