রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপূজা: বালাগঞ্জে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা, চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ



সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আর তেমন বাকী নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবকে ঘিরে বালাগঞ্জে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত বালাগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা কারখানার পাশাপাশি অনেকে মণ্ডপে গিয়ে ও প্রতিমার কাজ করছেন। দিন-রাত একাকার করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। এখন শুধু বাকী নিখুঁত শৈল্পিক রং-তুলির কাজ। কয়েক দিনের মধ্যেই রঙ্গের কাজ শুরু হবে বলে জানান প্রতিমা শিল্পীরা।

এই কাজের কদরের কথা জানতে চাইলে শিল্পী বিকাশ বলেন, পূজা এলেই মৃৎশিল্পীদের কদর বাড়ে। পূজা চলে গেলে কদর কমে যায়। বছরের এই সময়টা ব্যস্ততায় কাটলেও বছরের বাকী সময় টুকুতে কাজ থাকে না বললেই চলে। তাই মানবেতর জীবন-যাপন কাঁটাতে হয়। শিল্পী আরো বলেন, বাপ-দাদার এই পেশায় আছি কোনো রকমে। জীবন জীবিকার তাগিদে আবার কেউ কেউ পেশা বদলেছেন ও।

বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মণ্ডপে মণ্ডপে মূর্তি (প্রতিমা) তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। মৃৎশিল্পীরা জানান, কারখানায় প্রতিমার প্রথমার্ধের কাজ অর্থাৎ খড় ও মাটির কাজ শেষে অসজ্জিত অবস্থায় দূর-দুরান্তের মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা পৌছে দেয়া হয়েছে। কাপড়, সাজ-সজ্জা ও রং-তুলির কাজ (ফিনিশিং) মন্দিরে গিয়ে করা হবে।

এ বছর বালাগঞ্জ উপজেলায় সর্বমোট ৩৪টি মণ্ডপে পূজা হবে বলে জানা গেছে। উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রজত চন্দ্র দাস ভুলন ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন তালুকদার বলেন, এ বছর সর্বজনীন ৩০টি সহ ৪টি ব্যক্তিগত নিয়ে ৩৪ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বালাগঞ্জ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ নেই। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় বাজারের উপরে অবস্থিত মণ্ডপ কমিটিকে সর্বদা সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য বলা হয়েছে। তবে গত বছরও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, উপজেলার সব কয়টি মণ্ডপে পুলিশের নজরদারি থাকবে। ইতিমধ্যে ৬টি ইউনিয়নে পুলিশ খোঁজখবর রাখছে। পূজা মণ্ডপগুলোতে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন-আনুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলায় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ নেই। এইবার পূজার স্লোগান হচ্ছে,” উৎসব নয় পূজা”।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজিনা আক্তার বলেন, ৪ অক্টোবর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছ। সাড়ে ১৪ মেট্রিকটন চাল ৩০টি সার্বজনীন মন্ডপে সমবন্টনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এইবার উপজেলায় ৩৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের খবর নেই।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!