বালাগঞ্জে আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা। সে হিসেবে বালাগঞ্জ নামটার প্রতি আলাদা আকর্ষণ ও ভালোবাসা। তাই বালাগঞ্জ কেন্দ্রীক কোনো নামের প্রতি সব সময়ই আমার দূর্বলতা। বিশেষত সেটা যদি হয় কোনো প্রকাশনা, তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। যেখানে আমি নিজে প্রকাশনা তথা লেখালেখির সাথে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে। প্রসঙ্গত: বলে নিই, সেই ১৯৭৮/৭৯ সাল থেকে আমি লেখালেখি করছি, যখন আমি হাইস্কুলে পড়তাম। যদিও কলেজে পড়াকালীন ১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্নভাবে অনেকগুলো মাধ্যমে আমার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। এর মাঝে অনেকগুলো সম্পাদনার কাজও করেছি। এ প্রসঙ্গে ২০০৪ সাল থেকে প্রকাশিত শিকড়সন্ধানী প্রকাশনা “আনোয়ারা”র নাম বলা যায়। আমার সম্পাদনায় “আনোয়ারা” ৫২ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে এবং তা দেশ-বিদেশের অনেক গুণীজনের দৃষ্টিও কেড়েছে।
যা হোক, এ বছর (২০২১ সাল)-এর প্রথমদিকে আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আনিসুল আলম নাহিদ (লেখালেখি, সাংবাদিকতা, সম্পাদনা, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, ফটোগ্রাফি প্রভূতি বিচিত্র বিষয়ে যার আগ্রহ প্রচুর) বালাগঞ্জ প্রতিদিন আমার নজরে আনে। সেই থেকে প্রচুর ব্যস্ততার মধ্যেও প্রায় নিয়মিত বালাগঞ্জ প্রতিদিন এর প্রতি নজর রাখছি। এ ক্ষেত্রে নাহিদ ছাড়াও অনুজপ্রতিম মো. মতিউর রহমান (একজন ভালো কম্পিউটার অপারেটর এবং আমার লেখালেখির নেপথ্য কারিগর, যার কাছে আমি বহুভাবে ঋণী) সহযোগিতা করছেন। অনলাইনের পরিচ্ছন্ন এ প্রকাশনায় ইতোমধ্যে বিচিত্র বিষয়ে আমার বেশ কয়েকটি লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান (যেগুলোর সাথে আমার বহু সময়, শ্রম ও ঘাম জড়িত)- আনোয়ারা হোমিও হল গ্রন্থাগার ও আর্কাইভ, রাজীব স্মৃতি গ্রন্থাগার ও আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের অনেক নিউজ/প্রতিবেদন বালাগঞ্জ প্রতিদিন- এ প্রকাশিত হয়েছে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে। এ সুযোগে বালাগঞ্জ প্রতিদিনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আশা করছি, আগামী দিনগুলোতেও আমাদের প্রতি বালাগঞ্জ প্রতিদিন এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
যদিও আমি ধর্ম, হোমিও, কৃষি ও লেখালেখি নিয়ে খুব ব্যস্ত জীবনযাপন করছি, তবুও ভাবছি সময়-সুযোগে পেলেই প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি অনলাইন প্রকাশনা বালাগঞ্জ প্রতিদিন এবং দৈনিক স্বপ্নীল সিলেট (যেটার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি এবং সম্পাদক ঐতিহ্যবাহী বালাগঞ্জের সন্তান)- এর সাথে থাকব এবং লিখব। এ প্রসঙ্গে আশা করবো বালাগঞ্জ প্রতিদিন এবং স্বপ্নীল সিলেট পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে এবং এগিয়ে যাবে। যা হোক সেই ১৯৭৮/৭৯ সাল থেকে অদ্যবধি প্রকাশিত বিচিত্র বিষয়ে আমার ভালো-মন্দ অনেক লেখা বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ভাবছি বালাগঞ্জ প্রতিদিন এবং স্বপ্নীল সিলেটকে কেন্দ্র করে এখন থেকে সবগুলো লেখাকে গুছিয়ে এনে স্থায়িত্ব দেবো।
শুরুতেই বলেছি, বালাগঞ্জ প্রতিদিনের প্রতি আমার অন্যরকম ভালোবাসার কথা। সেই ভালোবাসা থেকে আমি চাইবো বালাগঞ্জের ঘরে ঘরে বালাগঞ্জ প্রতিদিন পঠিত হোক, এর মাধ্যমে ইতিবাচক বালাগঞ্জ উঠে আসুক। এ বিষয়ে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অনেকেই জানেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব সাধারণ জীবন-যাপন করি। ধর্মকর্মের পরে আমার প্রতিষ্ঠানগুলো (আনোয়ারা হোমিও হল, রাজীব স্মৃতি গ্রন্থাগার, আনোয়ারা ফাউন্ডেশন এবং আনোয়ারা এগ্রো ভিশন)-ই আমার ধ্যান-জ্ঞান। এতদসত্ত্বেও আমি সর্বন্ত:করণে সমৃদ্ধ বালাগঞ্জ তথা সমৃদ্ধ দেশ-প্রত্যাশা করি।
জানি বালাগঞ্জ প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক ও পৃষ্টপোষক ইংল্যান্ড প্রবাসী- সমাজসেবক, সাংবাদিক মুহাম্মাদ শরীফুজ্জামান বালাগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের কৃতি সন্তান। অনুভব করি, বালাগঞ্জ তথা দেশের প্রতি তাঁর আলাদা একটা টান আছে, সে টানের বহিঃপ্রকাশ প্রবাসে প্রচুর কর্মব্যস্ততার মধ্যেও বালাগঞ্জ প্রতিদিনে তাঁর সময় দান। শুভ কামনা বালাগঞ্জ প্রতিদিনের প্রতি। শুভ কামনা অনুজপ্রতীম মুহাম্মাদ শরীফুজ্জামান এর প্রতিও ।
লেখক: সম্পাদক – আনোয়ারা (শিকড়সন্ধানী প্রকাশনা), সিলেট।