শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

ওমিক্রন: বড়দিনের আগে ইংল্যাণ্ডে নতুন কোনো বিধিনিষেধ নয়



বড়দিনের আগে ইংল্যাণ্ডে নতুন কোনো বিধিনিষেধ দেয়ার বিষয় প্রত্যাখ্যান করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে স্কটল্যাণ্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যাণ্ড সামাজিকভাবে মেলামেশাকে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

তবে ইউরোপজুড়ে নতুন করে পুনরায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। পুরো মহাদেশে এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করছে। এর প্রেক্ষিতে জার্মানি, পর্তুগালসহ অনেক দেশ বড়দিনের পরে করোনার বিস্তার রোধে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আগের চেয়ে কঠোর করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্বের বিধান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এরই মধ্যে ইউরোপের বহু দেশে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ এক কর্মকর্তা হ্যান্স ক্লুগ এই মহাদেশের জন্য সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেছেন, ‘আরেকটি ঝড়’ আসছে। বড় আকারে সংক্রমণ বৃদ্ধিকে মোকাবিলা করতে হবে সরকারগুলোকে।

২৮শে ডিসেম্বর থেকে জার্মানিতে বিধিনিষেধ কঠোর হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে সেখানে ১০ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না। বন্ধ থাকবে নাইটক্লাবগুলো। ওই সময় থেকে ফুটবল ম্যাচগুলো হবে গেট বন্ধ করে। অর্থাৎ মাঠে কোনো দর্শক থাকতে পারবেন না। মঙ্গলবার জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেছেন, বড়দিনের জন্য কোনো বিরতি নেবে না করোনাভাইরাস। তাই পরবর্তী আরেকটি ঢেউয়ের জন্য আমরা চোখ বন্ধ করে রাখতে পারি না, রাখা যাবেও না। এই নতুন ঢেউ আমাদের চারপাশে ঘুরছে। খুব সহসাই তা শুরু হয়ে যেতে পারে।

২৬শে ডিসেম্বর থেকে বার এবং নাইটক্লাব বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পর্তুগাল সরকার। বাধ্যতামূলক যেসব কাজ তা এই তারিখ থেকে আগামী ৯ই জানুয়ারি পর্যন্ত বাসা থেকে সরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘরের বাইরে সর্বোচ্চ ১০ জন পর্যন্ত একত্রিত হতে পারবেন।

আজ বুধবার থেকে বার, ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁয় শুধু বসিয়ে খদ্দেরদের আপ্যায়িত করা যাবে সুইডেনে। সম্ভব হলে লোকজনকে বাসা থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিনা হ্যালেঙ্গেরেন বলেছেন, তার আশঙ্কা ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

সবার আগে নেদারল্যান্ড কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সোমবার তারা লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে। যদি সম্ভব হয় তাহলে উৎসবের এই সময়টার পরে কঠোর বিধিনিষেধের কথা চিন্তা করছেন অন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর নেতারা। এখন পর্যন্ত ইউরোপে কমপক্ষে ৮ কোটি ৯০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রান্ত জটিলতায় মারা গেছেন কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষ।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!