২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ফজরের নামাজ পড়ে সুর্যোদয়ের অপেক্ষায় বিছানায় গড়াগড়ি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সেলফোন বেজে ওঠে। তরুণ সাহিত্যকর্মী মোঃ বুরহান উদ্দিন জানায়, গত রাতে কবি-সাংবাদিক-শিক্ষাবিদ মহিউদ্দিন শীরু ইন্তেকাল করেছেন। অগ্রজ প্রিয় শীরু ভাইয়ের ইন্তেকালের সংবাদে আমি প্রায় বিমূঢ় হয়ে পড়ি। ইন্নালিল্লাহি বলতে বলতে আমার কণ্ঠ থেমে যায়। বুকটা ভার হয়ে ওঠে।
আমাদের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সন্তান মহিউদ্দিন শীরুর সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় আশির দশকে। তিনি তখন সিলেট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। তারুণ্যের উচ্ছ্বলতায় কবিতা-গান আর সাংবাদিকতা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তিনি। বলতে গেলে সাহিত্যাঙ্গনে ভীরু পায়ে আমার তখন সবেমাত্র যাত্রা শুরু। বালাগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমার কাঁচা হাতের সম্পাদিত অনিয়মিত সাহিত্য পত্র “প্রগতি” প্রকাশিত হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নিলাম প্রগতিতে বালাগঞ্জের কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার প্রকাশের। সে অনুযায়ী এক পর্যায়ে আমরা যোগাযোগ করি আমাদের কাছের মানুষ মহিউদ্দিন শীরুর সাথে। সিলেট শহরস্থ নাইওরপুলের বাসায় প্রথম দেখা তাঁর সাথে। বালাগঞ্জের মানুষ হিসেবে নতুন লেখক আমাকে তিনি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন। বলা বাহুল্য, সেই আমি কোনো কবিকে কাছে থেকে দ্বিতীয় দেখি। চেহারা-ছবি ও চোখে মুখে অন্য রকম দীপ্তি। ঝাঁকড়া চুলে অনেকটা কবি নজরুলের প্রতিচ্ছবি। কাছে থেকে কবিকে দেখে আমি মুগ্ধ-আবিষ্ট। যা হোক, প্রথম সাক্ষাতেই শীরু ভাই আমার নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তা প্রগতিতে এপ্রিল ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয়। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, ওঠাই তাঁর প্রথম প্রকাশিত সাক্ষাৎকার।
তারপর সুরমা-কুশিয়ারা দিয়ে অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। শীরু ভাই তাঁর অঙ্গনে সদর্পে বিচরণ করছেন। সাহিত্যাঙ্গনে কখনো সক্রিয় কখনো নিস্ক্রিয় আমি দূর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর কবিতা পড়ছি, রেডিওতে তাঁর লেখা গান শুনছি। কিন্তু তাঁর সাথে আমার ঘনিষ্টতা জমেনি। এর মাঝে ২০০৪ সাল থেকে আমি আবার সাহিত্যাঙ্গনে পুরোপুরি সক্রিয় হই। নিজের প্রয়োজনেই ২০০৪ সালের শেষার্ধের এক সকালে ঢু মারি তাঁর নাইওরপুলস্থ বাসায়। তিনি সেই আগের মতোই আন্তরিক ভাবে গ্রহন করেন, চা-টা খাওয়ান। কথা- বার্তার এক পর্যায়ে তাঁর “প্রবাসে বালাগঞ্জবাসী” বইয়ের শেষ পর্যায়ের কম্পোজ কপি আমার হাতে তুলে দিয়ে দেখতে বলেন। আমি তাঁকে তত্ত্বগত দিক দিয়ে কিছুটা সহযোগিতা করি। এই সূত্রে ক্রমান্বয়ে শীরু ভাইয়ের সাথে আমার ঘনিষ্টতা জমে। ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের কথা বিনিময় হয়। সময়ে-অসময়ে তাঁর বাসায় গিয়ে উপস্থিত হই, আড্ডা মারি। কখনো তাঁকে না পেয়ে ভাবীকে বিরক্ত করি। সেল ফোনে কথা বলি।
২০০৪ সালের নভেম্বরে আমার সম্পাদিত শিকড় সন্ধানী অনিয়মিত প্রকাশনা “আনোয়ারা” প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। আমার অনুরোধে প্যারালাইসড শীরু ভাই ওই সংখ্যায় লিখেন “আমার প্রথম লেখা প্রথম বই” শীর্ষক চমৎকার লেখা। তাঁর এই স্মৃতিচারণমূলক লেখার মাধ্যমে তাঁর লেখালেখির ইতিবৃত্ত জানা যায়।
উল্লেখ্য, “আনোয়ারা” প্রথম সংখ্যায় মহিউদ্দিন শীরুর উক্ত লেখার সাথে বালাগঞ্জের অন্যতম কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক-সাহিত্যিক বোরহান উদ্দীন খান (মরহুম)-এর ও “আমার প্রথম লেখা প্রথম বই” শীর্ষক লেখা ছাপা হয়। পাঠক সমাজে লেখাগুলো সমাদৃত হলে আমি উদ্দীপ্ত হই। পরবর্তীতে আমি “আনোয়ারা”য় সিলেট বিভাগের প্রতিষ্ঠিত কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের উক্ত শিরোনামের লেখা প্রকাশের চেষ্টা করে আসছি।
মহিউদ্দিন শীরুকে নিয়ে আমি স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে লিখি ‘মহিউদ্দিন শীরু: বহু অভিধায় অভিষিক্ত এক ব্যক্তিত্ব’। লেখাটি গুরুত্ব সহকারে কবি মুহিত চৌধুরী সম্পাদিত নন্দিত ও পরিচ্ছন্ন মাসিক “আজকের বিশ্ব বাংলা”য় প্রকাশিত হয়। অবশ্য এর আগে লেখাটা আমার সম্পাদিত “আনোয়ারা”য়ও প্রকাশিত হয়। লেখাটা প্রকাশিত হলে তিনি খুব খুশী হন। একজন গুণী মানুষকে সুধী পাঠক সমাজে তুলে ধরতে পেরে আমারও ভালো লাগে। শীরু ভাই তাঁর মেয়ের বিয়ের কার্ড পাঠিয়েই শুধু আমাকে দাওয়াত করেন নি, ফোনেও অনুরোধ করেন যাওয়ার জন্য। যদিও পেশাগত ব্যস্ততার জন্য আমার পক্ষে তাঁর সে আন্তরিক অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
কবি-সাংবাদিক মহিউদ্দিন শীরু একজন শিক্ষাবিদ হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। বালাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কলেজের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। তিনি অনেকবার যুক্তরাজ্য সফর করেন। প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানী নগর এডুকেশন ট্রাষ্ট, ইউকে এর তখনকার সেক্রেটারী, আমার বন্ধু সুহৃদ মোহাম্মদ সা’দ মিয়া ২০০৮ সালে দেশে এলে আমরা শীরু ভাইয়ের সাথে বসি। বালাগঞ্জের শিক্ষার উন্নয়নে উক্ত এডুকেশন ট্রাষ্টের ভূমিকা নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রবাসী লেখক মোহাম্মদ সা’দ মিয়াকে নিয়ে একদিন তাঁর বাসায় খাওয়ার জন্য খুব অনুরোধ করেন। কিন্তু আমাদের ব্যস্ততার জন্য স্ববান্ধব আর খাওয়া হয়নি। ওই সময় আমার অনুরোধে তিনি মোহাম্মদ সা’দ মিয়ার দ্বিতীয় বই “জীবন থেকে কুড়ানো” এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আসন গ্রহণ করেন। এমনকি তিনি ওই প্রকাশনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও লেখক প্রফেসর মোঃ আব্দুল আজিজ এবং বিশেষ অতিথি মদন মোহন কলেজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিশিষ্ট লেখক এবং সুবক্তা ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহর উপস্থিতি নিশ্চিত করে প্রকাশনা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তাঁর স্বহৃদয় আন্তরিকতায় আমি সে দিন খুব প্রীত হই। কেননা, প্রবাসী লেখক বন্ধুর বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও উপস্থাপনের সমূহ দায়িত্ব আমার ওপর ছিল।
শীরু ভাই প্রায় দিনই সুরমা মার্কেটস্থ তাঁর “গ্রাম সুরমা” অফিসে যাওয়ার জন্য আমাকে বলতেন। কিন্তু যাই যাই করেও “গ্রাম সুরমা” অফিসে যাওয়া হয়নি। হঠাৎ একদিন তিনি সুরমা মার্কেটের সামনে আমাকে পেয়ে যান। আর যাই কোথা! তিনি আমার কাঁধে হাত রেখে অনেকটা বগল দাবা করে গ্রাম সুরমা অফিসে নিয়ে যান। তারপর আরেক দিন যাই তাঁর অফিসে প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানী নগর এডুকেশন ট্রাস্টের প্রকাশনা (২০০৯)-এর জন্য তাঁর লেখা সংগ্রহ করতে। ওই দিন তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক বশির উদ্দিনের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দেন এবং “আনোয়ারা” সম্পর্কে আলোচনা করেন। বলা বাহুল্য, “আনোয়ারা” প্রথম সংখ্যা প্রকাশের পর যতবারই তাঁর সংগে দেখা হয়েছে, ততবারই তিনি “আনোয়ারা”র প্রকাশনা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। “আনোয়ারা”র প্রতি তাঁর আন্তরিক আকর্ষণ আমাকে এর প্রকাশনা চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। উল্লেখ্য, “আমার প্রথম লেখা প্রথম বই” শীর্ষক লেখা ছাড়াও “আনোয়ারা”য় তাঁর অনেক গুলো লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং লেখা গুলো পাঠক প্রিয়তা অর্জন করেছে।
সর্বশেষ মহিউদ্দিন শীরুর সাথে আমার দেখা হয় গেলো রমজান (১৪৩০)-এর শেষ দিকে। প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানী নগর এডুকেশন ট্রাষ্ট ইউকে-এর প্রকাশনা তাঁকে পৌছে দিতে বাসায় যাই। এক সোফায় পাশাপাশি বসে আমার সাথে আন্তরিকতার সাথে কথা বলেন। যথারীতি “আনোয়ারা”র কথা জিজ্ঞেস করেন। জানান, তাঁর স্মৃতিচারণমূলক একটা বই প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁর ড্রইং রুমে ব্যক্তিগত কম্পিউটার অপারেটর জাবেদ তখন স্মৃতিচারণমূলক বইয়ের খুব সম্ভব সেটিং এর কাজ করছিলেন। আমি কাছে বসে কম্পিউটারের মনিটরে আগ্রহ সহকারে সে বইয়ের লেখাগুলো দেখার চেষ্টা করেছিলাম। প্রসঙ্গতঃ আমি আশা করব, মরহুম মহিউদ্দিন শীরুর স্মৃতিচারণমূলক এই বইটা প্রকাশিত হবে। আমার বিশ্বাস, তাঁর পরিবার পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবরা আমাদের এ প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হবেন।
যা হোক, সর্বশেষ দেখার দিন আমি লক্ষ্য করি তাঁর একটা হাত কাঁপছে এবং মুখটাও আংশিক বাঁকানো। আমি তাঁকে অনুরোধ করি, দেশের বাইরে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য। অনেকবার অসুস্থতার পরও তাঁর মনোবল ছিল দৃঢ়। শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বরাবরই বলতেন- ভালো। সেদিন তিনি অনেক কথাই বলেন। খুটিয়ে খুটিয়ে এলাকার খোঁজ-খবর নেন। রাস্তা-ঘাটের কথা বলেন। অনেক দিন এলাকায় না আসতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন। অনেক দিন পর আমি তাঁর বাসায় যাওয়ায় অনুযোগও করেন। আমি সিলেট শহরে সেটেল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুনে তিনি খুশী হন।
এক পর্যায়ে ওঠতে চাইলে, আরো কিছুক্ষণ বসতে তিনি অনুরোধ করেন। ভর দুপুরে প্রচন্ড গরমে বাইরে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু কাজের তাড়ায় আমি বেরিয়ে পড়ি। কিন্তু সেদিন আদৌ ভাবিনি ওই দেখাই তাঁর সাথে আমার শেষ দেখা। তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনে প্রথমেই মনে পড়েছে, তাঁর সাথে শেষ আলাপ ও শেষ দেখার কথা। ইশ ওই দিন আরো কিছুটা সময় তাঁর সাথে কাটাতে পারতাম!
দূর্ভাগ্য আমার বৈষয়িক অসুবিধায় সিলেট শহর দূরে থাকায় তাঁর জানাজায় অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ইং বৃহস্পতিবার বাদ জুমা সিলেট দরগাহ মসজিদ প্রাঙ্গনে তাঁর নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশার প্রচুর লোক তাঁর জানাযায় অংশ গ্রহণ করেন। আমি ওই দিন বালাগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক ছোট্ট মসজিদে মন খারাপ নিয়ে পবিত্র জুমার নামাজে অংশ গ্রহণ করি। কিন্তু কী আশ্চর্য্য, ওই মসজিদে খুৎবা পূর্ব বয়ানে ইমাম সাহেব স্বতঃস্ফুর্তভাবে আমাদের প্রিয় শীরু ভাইয়ের কথা আলোচনা করেন এবং তাঁর মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেন। আমি মরহুম শীরু ভাইয়ের ভাগ্য দেখে আবারো অভিভূত হই। সত্যি অনেক ভাগ্যবান শীরু ভাই। বৃহস্পতিবার দিবাগত পবিত্র রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জীবদ্দশায় তিনি যেমন মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন, মৃত্যুর পরও তেমনি পাচ্ছেন। উল্লেখ্য, তাঁর মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণ সংযোগ ও সাংবাদিকতায় ১৯৭৮ সালে এম.এ ডিগ্রীধারী মহিউদ্দিন শীরু ১৯৫৫ সালে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার ১১নং দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের জামালপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আজির উদ্দিন আহমদ মা মরহুমা কমরুন্নেছা খাতুন। স্বনামে প্রতিষ্ঠিত আমাদের শীরু ভাই বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থান (বাসস)-এর সিলেট প্রতিনিধির দায়িত্ব দীর্ঘদিন সফলতার সাথে পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন সিলেট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের গুরু দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। এ ছাড়া অনেকগুলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তাঁর প্রকাশিত বইগুলো হচ্ছে- ০১. সিলেটের শতবর্ষের সাংবাদিকতা (১৯৯৮); ০২. পাখির স্বজন নেই (কাব্য, ২০০৮) এবং ০৩. ক্লান্ত রাতের ধ্রুব তারা (গানের সংকলন, ২০০৮)। এছাড়া তাঁর সম্পাদনায় বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো বই, পত্র-পত্রিকা ও সংকলন বেরিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে অনেকের মতো আমারও খুব খারাপ লেগেছে। মনে হয়েছে খুব কাছের একজনকে হারিয়েছি। স্বজন হারানোর ব্যাথা বুক নিয়ে আমি তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করি।
লেখক, সম্পাদক- ‘আনোয়ারা’ (শিকড় সন্ধানী প্রকাশনা)।