বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের অন্যতম প্রাচীন ‘তালতলা-বশিরপুর জামে মসজিদ’-এর নান্দনিক পুনর্নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এলাকার শতশত মানুষের স্বপ্ন ও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন পুনর্নির্মিতব্য এই দ্বিতল অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। নান্দনিক এ মসজিদের পুনর্নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হয়ে নামাজের দ্বার উন্মোচিত হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান আছেন স্থানীয় মুসল্লীরা। পাশাপাশি জন্মভুমির টানে প্রবাস থেকেও এই মসজিদের নির্মাণ কাজের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন এলাকার প্রবাসীরা।
জানা গেছে, আনুমানিক ৭শ বছর পূর্বে তালতলা-বশিরপুর মসজিদটি এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্থাপিত হয়। প্রথমে জুমা ঘর এবং পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে এই মসজিদটি পাকাকরণ হয়। সর্বশেষ বিগত ২০২১সালের ২৭ ডিসেম্বর মসজিদটির পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুন মাসে পুনর্নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তিন তলার ফান্ডেশনধারা নির্মিতব্য এ মসজিদটি ২য় তলাপর্যন্ত নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ২ কোটি টাকা।
আলাপকালে তালতলা-বশিরপুর জামে মসজিদ অডিট কমিটির কনভেনর প্রফেসর মো. বদরুজ্জামান, পরিচালনা কমিটির সভাপতি খন্দকার আপ্তাব আলী খোকন, সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য খন্দকার আব্দুল হাই (কমলা মেম্বার), সহসভাপতি খন্দকার কাওছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক সোহেল, কোষাধ্যক্ষ মো. জমির আলী, অন্যতম সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন এবং বর্তমান স্থানীয় ইউপি সদস্য খন্দকার আব্দুর রকিব জানান, আমাদের তালতলা-বশিরপুর গ্রামের একমাত্র জামে মসজিদ এই মসজিদটি। এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের পাশাপাশি এই প্রাচীণতম মসজিদ পুনর্নির্মাণে আনন্দিত এলাকার দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মানুষ। খুব শীঘ্রই মসজিদের প্রথম তলার কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী। মসজিদ পুনর্নির্মাণে এলাকার সর্বসাধারণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। দেশ-বিদেশের সবার সহযোগিতায় মসজিদ পুনর্নির্মাণের এই মহতি উদ্যোগ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
তাঁরা আরো বলেন, আমাদের পূর্বসুরীরা (দানা মুরব্বিরা) যে রকম একতার মেলবন্ধন তৈরী করে রেখে গেছেন তেমনি আমরাও তাদের অনুসরণীয় পথে থাকার এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলার চেষ্টা করছি। মহান আল্লাহ্পাক আমাদের পূর্বসুরীদের তৈরীকৃত পথ ও একতা সবসময় ধরে রাখার তাওফিক দান করুন।
জানা গেছে, মসজিদ কমপ্লেক্স দুই তলা বিশিষ্ট ৪৫০০.২৪(সফট) স্কয়ার ফিট হবে। মসজিদের ভিতরে ৮টি সফ (কাতার) এবং বারান্দায় ৩টি সফ বা কাতার হবে। প্রতি কাতারের মধ্যখানে ৯” জায়গা ফাঁকা থাকবে। মেইন গেইট সামনে অর্থাৎ পূর্বমুখি এবং উত্তর দিকে একটি ও দক্ষিণ দিকে একটি করে গেইট থাকবে। প্রতি কাতারে ৫০ জন মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্য ৫৫’-৯” এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রস্ত ৬৪’-৪”।