ভাত কম খেয়ে, সম্ভব হলে শাক-সবজি বেশি খান। পৃথিবীর অনেক দেশের স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এমনটি করে থাকেন। বলা হয়, ‘সুস্থ সবল স্বাস্থ্য চান/বেশি করে সবজি খান।’ প্রবাদে আছে, ‘উনা ভাতে দুনা বল, অধিক ভাতে রসাতল।’
অর্ধ সিদ্ধ ডিম খান, এটা পুষ্টিকর। বেশি সিদ্ধ ডিমের অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং প্রায়ই তা হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
রাতের খাবার অধিক রাতে না খেয়ে, সন্ধ্যা রাতে খাওয়ার চেষ্টা করুন। কথায় আছে, ‘অধিক রাতে খেতে মানা, সন্ধ্যায় সারুন রাতের খানা।’
বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেলে গোশত, চর্বি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে সাবধান হউন।
পোলাও-গোশতের মতো খাবারের সাথে সালাদ খান। সালাদ শরীরে চর্বি শোষিত হতে বাধা দেয়।
পোলাও-গোশতের পর টক দই খান। টক দই উপকারী। টক দই গোশতের কোলেস্টেরল শরীরে শোষিত হতে বাধা দেয়।
ড্রিংক্স হিসেবে ডাবের পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন, ডাবের পানি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ফল-মূল বিশেষ করে শসা, পেয়ারা, আপেল, কুল এই ধরণের ফলের ওপরের খোসা (বাকল/ছিলকা) না ফেলে ফল খান। এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ফল-সবজি কাটার আগে ভালোভাবে ধোয়ে নিন। এতে পুষ্টির অপচয় রোধ হয়। এই সাথে অবশ্যই হাত এবং কাটার যন্ত্র আগে-বাগে ভালো করে ধোয়ে নিতে হবে।
ফল-মূল বেশি পাকলে খাদ্যমান কমে যায়। অতএব এগুলো ঘরে/গাছে রেখে বেশি না পাকার আগেই সাবাড় করুন।
পাতিলের মুখ ঢেকে রান্না করুন, খোলা রেখে রান্না করলে খাদ্যমান কমে যায়। তবে চর্বি জাতীয় খাদ্য রান্নায় পাতিলের মুখ খোলা রাখা উচিৎ।
কম তেল-মসলা ও কম সিদ্ধ করা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
চর্বিযুক্ত খাবার পরিমিত খান। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের ধারণা, চর্বিযুক্ত খাবারের সংগে বহু ভয়ঙ্কর রোগ-ব্যাধি সংযুক্ত রয়েছে।
চেষ্টা করুন অর্গানিক অর্থাৎ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে উৎপাদিত ফলমূল, শাক-সবজি খেতে।
প্রাণিজ আমিষ (মাছ-গোশতের) এর তুলনায় উদ্ভিজ আমিষ (ডাল, শিমের বিচি এবং ছোলা) স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সম্ভব হলে নিয়মিত ডাল, ছোলা ও শিমের বিচি খান। কথায় আছে, ‘মাছ-মাংস যদি না মিলে, শিমের বিচি খাওয়া চলে।’
ফরমালিনযুক্ত মাছ-গোশত বর্জন করুন। উল্লেখ্য, ফরমালিন দেয়া মাছ-গোশতে মাছি বসে না। গোশত শুষ্ক ও শক্ত হয়। মাছের চোখ ভেতরে চলে যায়, শরীর শুষ্ক হয় এবং ফুলকা কালচে রং ধারণ করে।
রঙিন খাবার বিশেষত: রঙিন দই, মিষ্টি, কেক, জেলি, আইসক্রিম প্রভৃতি খেতে সাবধান হউন। এসব খাবারকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করতে প্রায়ই যে রং ব্যবহার করা হয়, তা ভয়ঙ্কর।
খাবার সময় মতো খান, পরিমিত খান। কথায় আছে, ‘অধিক খেতে করে আশ, এর নাম বুদ্ধিনাশ।’
গাভীর দুধ দোহানোর সংগে সংগে কম তাপে ফুটিয়ে পান করুন, এতে দুধের পুষ্টিমান প্রায় পুরোপুরি বিদ্যমান থাকে।
ভাত রান্নার ক্ষেত্রে মাড় ফেলা ঠিক না। বলা যায়, মাড়েই ভাতের প্রধান খাদ্যমান বিদ্যমান থাকে।
পোলাও-বিরিয়ানির পরিবর্তে সাদা ভাত/রুটি খান। সাদা ভাত ও রুটি শরীরের জন্য নিরাপদ।
কম তাপে সময় নিয়ে রান্না করুন। এমন রান্না করা খাবারে খাদ্যমান বেশি থাকে।
লেখক: সম্পাদক – আনোয়ারা (শিকড় সন্ধানী অনিয়মিত প্রকাশনা)।