বৃটেনের নতুন রাজা এখন রাণী এলিজাবেথের বড় ছেলে, সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস। রাণী মারা যাওয়ার মুহূর্তে কোনো অনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিংহাসনের উত্তরাধিকার চলে যায় ৭৩ বছর বয়সী চার্লসের কাছে। তাঁকে এখন থেকে ডাকা হবে রাজা তৃতীয় চার্লস। তবে চার্লসের বৃটেনের সিংহাসনে আরোহন করতে বেশ কিছু ব্যবহারিক ও ঐতিহ্যগত পদক্ষেপ বাকি রয়েছে।
সিংহাসনে আরোহণের পর অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডসহ আরও ১৪টি রাষ্ট্রের প্রধান হবেন বৃটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। মায়ের মৃত্যুর সময় তিনি পাশেই ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে মারা যান রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
বেশ কিছু দিন ধরে শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ভালোভাবে হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে অবস্থান করছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার পর বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে রাণীর অসুস্থতার কথা জানায়।
রাণীর অসুস্থতার খবর পেয়ে বালমোরাল প্যালেসে ছুটে যান তাঁর চার ছেলেমেয়ে— যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ এডওয়ার্ড (৫৮) এবং চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়াম। সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে যান উইলিয়ামের ভাই হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান।
মঙ্গলবারই বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ করেছিলেন রাণী এলিজাবেথ। প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই নতুন প্রধানমন্ত্রী ট্রাসকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ।
১৯৫২ সালে বৃটিশ সিংহাসনে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক ঘটে। কয়েক মাস আগেই তাঁর সিংহাসনে আরোহনের ৭৫ বছর উদযাপন করা হয়েছিল।