এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। রাজীব হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের মুক্তির নির্দেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি।
কংগ্রেস নেতা তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেছেন, রাজীব গান্ধীর খুনিদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল। কোনোভাবেই এটা মেনে নেয়া যায় না।
১৯৯১ সালের ২১ মে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শ্রীপেরুমবুদুরে এক জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগার্সের (এলটিটিই) এক সদস্য আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। জানা যায়, ধানু নামে এলটিটিই’র এক নারী আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
এই ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এ জি পেরারিভালানকে সুপ্রিম কোর্ট গত মে মাসে মুক্তি দেয়। ৩১ বছর জেল খাটার পর শুক্রবার নলিনীর সঙ্গে মুক্তি পেলেন জয়কুমার, সন্তন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস ও রবিচন্দ্রন। তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
পরবর্তীকালে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার হস্তক্ষেপে তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।