মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এম.এ.জি ওসমানীর ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও চক্ষু শিবির আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ সিলেটের উদ্যোগে ও লুটন বালাগঞ্জ ওসমানী নগর সমাজ কল্যাণ সংস্থার অর্থায়নে স্থানীয় দয়ামীরস্থ বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী দাতব্য চিকিৎসালয়, স্মৃতি জাদুঘর ও গণগ্রন্থাগারে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা ফ্রি এই মেডিকেল ক্যাম্প ও চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হবে। এতে আগ্রহী রুগীদেরকে ২৫ ফেব্রুয়ারির তারিখের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করার আহবান করা হয়েছে।
চিকিৎসা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে – চক্ষু রোগীর বেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ১কপি ছবি দিতে হবে। পরিবারের কেহ প্রবাসে বা সচ্ছল থাকলে ছানি অপারেশনের জন্য যোগ্য হবেন না। এবং রেজিষ্ট্রেশন বিহীন কোনো রোগী দেখা হবে না।
এ দিকে উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আন্তরিক সাহায্য, সহযোগিতা ও সদয় উপস্থিতি কামনা করেছেন বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ সিলেটের সভাপতি সৈয়ীদ আহমদ বহলুল।
উল্লেখ্য, মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, যিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে পরিচিত। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮। তাঁর বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার (বর্তমান তাঁর নাম অনুসারে ওসমানী নগর উপজেলা) দয়ামীর জালালপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতার নাম খান বাহাদুর মফিজুর রহমান। এম.এ.জি ওসমানী ১৯৪২ সালে তৎকালীন বৃটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মেজর ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন তিনটি দেশের সেনাবাহিনীর অফিসার। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি হয়েছিলেন একটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক যা ইতিহাসের বিরল। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার রণাঙ্গনের অন্যতম মহারথী। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। এবং তাঁকে হযরত শাহ জালাল (রহ.) দরগাহ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।