দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফিরে শুক্রবার ১৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিন। দিনের শুরুতে জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শেখ মেহেদী হাসান। জিম্বাবুয়েকে ১২৪ রানে থামিয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন দুই টাইগার পেসার এবং স্পিনার শেখ মেহেদী। ঢাকা এক্সপ্রেস খ্যাত তাসকিন আহমেদ ১৪ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। শেখ মেহেদী ১৬ রানের বিনিময়ে সংগ্রহ করেছেন ২ উইকেট। দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্য প্রদর্শন করায় ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
জিম্বাবুয়ের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৫.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। এর আগে পাল্টা জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করেনি টাইগার ব্যাটাররা। ওপেনার লিটন দাস নিজের ৩য় বলে মাত্র ১ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্লেসিং মুজাররাবানির বলে। এরপর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে টাইগাররা। তবে মাঝখানে দু’বার করে আসে বৃষ্টির বাগড়া। তবে ডিএলএস মেথডের দিকে যায়নি কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টি শেষেই সাজঘরে ফিরতে হয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। অধিনায়ক ২১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন লুক জঙ্গুয়ের বলে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এদিন অভিষিক্ত ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। অপর প্রান্তে তাওহিদ হৃদয় ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে শুক্রবার জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৪ রানের পুঁজি গড়ে জিম্বাবুয়ে। ওপেনার ক্রাইজ আর্ভিন নিজের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসানের বলে। এরপর আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১৪ বলে চারটি বাউন্ডারিতে এই ওপেনার হাকান ১৭ রানের ইনিংস। এর পর রান নিতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্রায়ান বেনেট ১৬ রানের ইনিংস খেলে। অধিনায়ক সিকান্দার রাজা এবং সেইন উইলিয়ামস সাজঘরে ফেরেন শুন্য হাতে। ব্যাটারদের এমন নাজেহাল অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল হয়তো অর্ধশতকের আশেপাশে থেমে যাবে জিম্বাবুয়ে।
তবে জিম্বাবুয়ের হয়ে বেশ শক্ত হাতে ঘুরে দাঁড়ান উইকেট-কিপার ব্যাটার ক্লাইভ মাডানডে। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তাসকিন আহমদের বলে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ঘুরে দাঁড়ানো আরেক ব্যাটার ওয়েলিংটন মাসাকাজা। ব্যাট হাতে তিনি হাঁকান ৩৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। তবে তাকে সাজঘরে ফিরতে হয় সাইফুদ্দিনের বলে। ক্লাইভ মাডানডে ও ওয়েলিংটন মাসাকাজার ব্যাটে সবশেষ বাংলাদেশকে ১২৪ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া মেহেদি হাসান নিয়েছেন দুটি উইকেট।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ রোববার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১২৪ (গাম্বি ১৭, আরভিন ০, বেনেট ১৬, উইলিয়ামস ০, রাজা ০, মাডান্ডে ৪৩, বার্ল ০, জঙ্গুয়ে ২, মাসাকাদজা ৩৪, মুজারাবানি ১, এনগারাভা ২*; শরিফুল ৪-০-৩৭-০, মেহেদি ৪-১-১৬-২, তাসকিন ৪-০-১৪-৩, সাইফ উদ্দিন ৪-০-১৫-৩, রিশাদ ৪-০-৩৭-০)।
বাংলাদেশ: ১৫.২ ওভারে ১২৬/২ (লিটন ১, তানজিদ ৬৭*, শান্ত ২১, হৃদয় ৩৩*; মুজারাবানি ৪-০-২৪-০, এনগারাভা ৪-০-৩১-১, রাজা ৪-০-৩১-০, বেনেট ১-০-১০-০, জঙ্গুয়ে ১.২-০-১৪-১, এনডিলোভু ১-০-১৫-০)।
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ত এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: তাসকিন আহমেদ।