একই উপজেলার অধিবাসী হওয়া সত্বেও বলতে গেলে আমি লেখক, ভাষা সৈনিক ও রাজনীতিবিদ সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ সম্পর্কে অজ্ঞই ছিলাম। রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের প্রতি আমার অনাগ্রহ এর একটা কারণ হতে পারে। তাঁর বই “দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রাম”- এর প্রকাশনা উৎসবের খবর স্থানীয় দৈনিকে দেখে আমার টনক নড়ে। ডানে-বামে দারিদ্র্যের ছড়াছড়ি দেখতে দেখতে বিচলিত আমি ভাবি সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন কি অসম্ভব? এ রকম ভাবনার মাঝে সংগত কারণেই উক্ত বই সংগ্রহের চেষ্টার পাশাপাশি রাজনীতিতে অনাগ্রহী আমি তাঁর ব্যক্তি ও কর্ম জীবন সম্পর্কে খোঁজ- খবর নেয়ার চেষ্টা শুরু করি।
২০০৫ সালের প্রথম দিকে সিলেটের দৈনিক গুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ের জ্ঞাণী-গুণী ও কৃতি ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আমার স্মৃতিচারণমূলক কিছু লেখা প্রকাশিত হয়। আমার অলক্ষ্যে লেখাগুলো সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের ছেলে সৈয়দ মুরাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ সময় দৈনিক সিলেট বাণীতে কর্মরত সাংবাদিক- কবি সৈয়দ মুরাদ আমার সাথে আগ্রহ সহকারে আলাপ করেন। জানান তাঁর পিতাও একজন লেখক এবং তাদের গ্রামের বাড়ী বালাগঞ্জ উপজেলার চুনার পাড়া গ্রামে। এরপর আমি আরো উৎসুক্যের সাথে সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের খোঁজ-খবর নিই এবং তাঁর সাথে দেখা করতে একদিন তাঁদের বাসায় যাওয়ারও প্রস্তাব করি। মুরাদ বলেন- বর্তমানে তাঁর পিতা অসুস্থ এবং একটু সুস্থ হলে তিনি আমাকে বলবেন।
আমার সম্পাদিত “আনোয়ারা” (শিকড় সন্ধানী অনিয়মিত প্রকাশনা)য় প্রথম সংখ্যা থেকে আমি সিলেট বিভাগের প্রতিষ্ঠিত কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের “আমার প্রথম লেখা প্রথম বই” শীর্ষক স্মৃতিচারণমূলক লেখা প্রকাশের চেষ্টা করে আসছি। সৈয়দ মুরাদের সাথে আলাপের কিছুদিন পর “প্রথম লেখা প্রথম বই” শীর্ষক লেখার জন্য আমি সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদকে সবিনয় পত্র লিখি। একই সাথে সৈয়দ মুরাদের সাথে দৈনিক সিলেট বাণী অফিসে দেখা করে অনুরোধ করি। কিন্তু কাজ হয় না। মন খারাপ হয়ে যায়।
একদিন অগ্রজ কবি-সাংবাদিক অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন শীরুর ওসমানী যাদুঘর সংলগ্ন নাইওরপুলস্থ বাসায় বসে তাঁর সাথে আলোচনা করি সৈয়দ ইসলাহ উদ্দীন আহমদ সম্পর্কে। শ্রদ্ধেয় শীরু ভাই আমাকে উৎসাহিত করেন এবং অদূরে ইসলাহ উদ্দীন সাহেবের বাসা দেখিয়ে দেন। ভর দুপুরে আমি ইসলাহ্ উদ্দীন সাহেবের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ি। কিন্তু দূভার্গ্যক্রমে পাই না।
দিন গড়ায় নানা কাজে। কিন্তু ভূলতে পারি না সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের মতো খ্যাতিমানের কথা। আর একদিন সিলেট শহরে ঘুরতে ঘুরতে “আনোয়ারা”র সিলেট শহর প্রতিনিধি মোঃ সুহেল মিয়াকে নিয়ে ভর দুপুরে উপস্থিত হই সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের বাসায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন। ঢু মেরেই পেয়ে যাই তাঁকে। পরিচয় দিলে ড্রয়িং রুমে বসান। কিছু বিচ্ছিন্ন কথা-বার্তা হয়। সুন্দর চেহারা বিশিষ্ট ধীর-স্থির এবং বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষটি বয়স এবং রোগে-শোকে বিধ্বস্ত। কথা-বার্তায় সংলগ্নতা নেই। এতদসত্ত্বেও আমাদের অনুরোধে তিনি ভেতর থেকে খোঁজা-খুঁজি করে এনে এক কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ফটো দেন এবং জানান “প্রথম লেখা প্রথম বই” শীর্ষক লেখার জন্য অনুরোধ করে লেখা আমার পত্রটা তিনি তাঁর ভাতিজা লেখক ও ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ তাহেরকে দিয়েছেন। অগত্যা আমরা তাঁর ফটো নিয়েই বেরিয়ে আসি।
বলা বাহুল্য, সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদকে লেখা আমার ওই পত্রের সূত্রে তাঁর ভাতিজা লেখক-ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ তাহেরের সাথে আমার অনেক বার আলাপ হয়েছে এবং তিনি তার “চুনার পাড়ার সৈয়দ বাড়ির ইতি কথা” বইটিও আমাকে আগ্রহ সহকারে পাঠিয়েছেন। যদিও আজ অবধি সৈয়দ তাহেরের সাথে আমার দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। যা হোক, ধারণা করি শেষ বয়সে সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন সৈয়দ তাহের। সম্ভবতঃ সৈয়দ তাহেরের তত্ত্বাবধানে তাঁর “দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রাম” বই প্রকাশিত ও বিলি-বিতরণ হয়। ১৮ মার্চ ২০০৬ সৈয়দ মুরাদ আমাকে তার পিতার “দারিদ্র্র্য বিমোচনের সংগ্রাম” শীর্ষক বহুল আলোচিত বইয়ের একটা সৌজন্য কপি দেন। দেয়ার সময় মুরাদ উল্লেখ করেন, বইটি তিনি সৈয়দ তাহেরের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন।
ঘটনা বহুল জীবনের অধিকারী সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে তাঁর ছেলে সৈয়দ মুরাদের কথা আমার খুব মনে পড়ছে। মুরাদের কিছু লেখা আমি পড়েছি। মনে হয়েছে লেগে থাকলে ভালো কিছু করা সম্ভব। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয়, পিতার মৃত্যুর অল্প কিছু দিনের মধ্যে ভগ্ন স্বাস্থ্যের শান্ত শিষ্ট মুরাদ অকাল মৃত্যুবরণ করেন। সৈয়দ তাহের এবং মুরাদ দু’জনেই আমাকে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন, ইসলাহ্ উদ্দীন সাহেব সম্পর্কে কিছু লিখতে। আমিও অনেকবার ভেবেছি তাদের অনুরোধ রক্ষা করি, একজন কৃতিমান সম্পর্কে একটা কিছু লিখি। কিন্তু কি এক অদৃশ্য কারণে এতোদিন লেখা হয়নি। যদিও ইতিমধ্যে বিচিত্র বিষয়ে আমি ভালো-মন্দ অনেক কিছু লিখেছি।
লেখক, ভাষা সৈনিক, সমাজ বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ মরহুম সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ ১ আগষ্ট ১৯২৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার হোসেন নমকী (চুনার পাড়া)। পিতা এডভোকেট সৈয়দ রফিক উদ্দিন আহমদ এবং মা সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন সিলেট শহরের ঐতিহ্যবাহী দূর্গাকুমার পাঠশালায়। পরবর্তীতে তিনি রাজা জি.সি হাই স্কুল ও এম.সি কলেজে পড়াশোনা করেন। মেধাবী ছাত্র ইসলাহ্ উদ্দীন ছাত্র জীবনে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
১৯৫০ সালে বি.এ পাশ করার পর কিছু দিন সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ সাপ্তাহিক “ইস্টার্ণ হেরাল্ডে”র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। বায়ান্নর ২১ ফেব্র“য়ারী রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে আন্দোলনরত ছাত্র মিছিলে বর্বর পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী গুলি বর্ষণ করলে “ইস্টার্ণ হেরাল্ডে” সোচ্চার হন ইসলাহ্ উদ্দীন। ফলশ্র“তিতে চাকুরী যায়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সাথে তিনি আরো ঘনিষ্ট হন। পিতার ঐকান্তিক আগ্রহে সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ পাকিস্তান সরকারের সিভিল সার্ভিসে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েও এক সময় রাজনীতির টানে লোভনীয় চাকুরী ছেড়ে দেন এবং ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
রাজনীতি ও সমাজ সংস্কারে তিনি জননেতা আহমদ আলী, পীর হবিবুর রহমান, দেওয়ান ফরিদ গাজী, আব্দুল হামিদ, এ জেড এম আব্দুল্লাহ, আসাদ্দর আলী প্রমুখের সাথে কাজ করেন। আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য লাভ করেন। সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ রাজনীতির পাশাপাশি লেখালেখিতেও সক্রিয় ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বইগুলো- ০১. একটি জাতি, দু’টি দেশ, ০২. হযরত শাহ্জালাল (রহ.), ০৩. বাংলাদেশ রাজনীতির গূঢ় কথা এবং ০৪. দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রাম। এছাড়া ২০০৭ সালের এপ্রিলে দৈনিক সিলেটের ডাকে ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছে তাঁর “একটি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ (১৯৫৭-১৯৭৫)”।
প্রথম বই লেখা প্রসঙ্গে সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ- “১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যা, মা-বোনদের সম্ভ্রম ও সম্পদ লুন্ঠনের করুণ চিত্র সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে আমাকে আমার জীবনের সর্বপ্রথম পুস্তক ‘একটি জাতি, দু’টি দেশ’ রচনা করতে উদ্বুদ্ধ করে।”
দ্বিতীয় বই সম্পর্কে তাঁর কথা- “একজন মন্ত্রী প্রাচ্যের আধ্যাত্মিক সম্রাট হযরত শাহ্জালাল (রহ.)’র মাজার জেয়ারতে যাওয়ার সময় আমাকে তার সঙ্গে নিয়ে যান এবং ঐ মহাপুরুষ সম্বন্ধে কেউ কোনো ভালো পুস্তক রচনা করেন নাই বলে অভিযোগ করেন। তারই অনুরোধে আমি আমার জীবনের দ্বিতীয় পুস্তক হযরত শাহ্জালাল (রহ.)’ রচনা করি।
তৃতীয় বই সম্পর্কে তিনি বলেন- “আমি আমার জীবনের তৃতীয় পুস্তক ‘বাংলাদেশ রাজনীতির গূঢ় কথাও’ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রচনা করি। এই পুস্তকে আমি ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের একটি তুলনামূলক সমালোচনার মাধ্যমে দেখিয়েছি যে ধনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সকল কথা সত্য নয়, আবার সকল কথা মিথ্যেও নয়। উভয় মতবাদের মধ্যে জনহিতকর বহুবস্তু রয়েছে। এই জনহিতকর বস্তুগুলিকে গ্রহণ করে নিয়ে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া উচিৎ।”
চতুর্থ ও শেষ বই সম্পর্কে সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ- “আমি আমার জীবনের চতুর্থ হয়তো বা শেষ পুস্তক ‘দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রাম’-এ দারিদ্র্যের আদি উদ্ভব আর বর্তমান বিজ্ঞানের যুগেও কোটি কোটি মানুষ যে দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে সংক্ষেপে তা তুলে ধরে এই লজ্জা বিমোচনের একটি প্রকৃষ্ট পন্থা নিরুপণ করার চেষ্টা করেছি।”
“দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রাম” বইয়ের মুখবন্ধে সিলেট ল’ কলেজের অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট এডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদ বলেছেন- “প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র নেতা সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন বহুমুখী প্রতিভাধর। লেখালেখিতে তাঁর হাত রয়েছে, চিন্তা জগতে নব উন্মেষ ঘটিয়ে তা কাগজে-কলমে প্রকাশ করার অপরাধে কারাবাস ঘটেছে তাঁর জীবনে। তিনি অনেক দিন যাবৎ সিলেট অঞ্চলের ইতিহাসমূলক একটি পুস্তক লেখার তাগিদ অনুভব করছিলেন, তারই প্রয়াস দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রাম।”
হযরত শাহ্জালাল (রহ.) এর সফর সঙ্গী ও সিপাহ্শালার হযরত সৈয়দ নাসির উদ্দীন (রহ.)-এর বংশধর সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের অন্যান্য বইগুলো পড়ার সৌভাগ্য আমার না হলেও মরহুম সৈয়দ মুরাদের সৌজন্যে প্রাপ্ত “দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রাম” বইটা আমি পড়েছি। ভালো লেগেছে। বইটি পাঠে তাঁর সমাজ সচেতনতা ও পঠন-পাঠনের গভীরতা উপলব্দি করা যায়। এতে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সমাজ কল্যাণে অনেক কথা বলেছেন, অনেক ইতিহাস টেনেছেন। দারিদ্র্য নিয়ে গবেষণামূলক এই বইয়ে সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ দারিদ্র্য কবলিত ও বঞ্চিত মানুষদের প্রতি সুগভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। বইটি তিনি উৎসর্গ করেছেন- “সম্পদশালী ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের সবচেয়ে দূর্দশাগ্রস্থ গরিব জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে।”
মজার ব্যাপার, সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের প্রথম বই “একটি জাতি, দু’টি দেশ” বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাজেয়াপ্ত হয় এবং এই বইয়ের জন্য জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি কারাভোগ করেন।
মরহুম ইসলাহ্ উদ্দীন সম্পর্কে সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের তার “চুনার পাড়া সৈয়দ বাড়ির ইতিকথা” বই লিখেছেন- “সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ একজন সুসাহিত্যিক ও সমাজ বিশ্লেষকও বটে। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনে সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।”
ভাষা সৈনিক, রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক ও লেখক সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদ ১৫ জুন ২০০৬ সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য যারা কাজ করেন, তাদের অবদান স্মরণ করা উচিৎ। কিন্তু সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের ইন্তেকালের পর দেখে শুনে আমার মনে হচ্ছে বিস্মৃতি প্রবণ আমরা আমাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করিনি। মরহুম সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে আমার আহবান থাকবে আসুন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে সচেতন হই। বিস্মৃত প্রায় গুণীজনদের স্মরণ করি, তাঁদের অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি দিই।
লেখকঃ ইসলাম ধর্ম, হোমিওপ্যাথি ও কৃষি বিষয়ক লেখক ও গবেষক।